যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে সরকার ‘অসন্তুষ্ট নয়’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনাকে সহযোগিতার জন্য অনেক বিদেশি বন্ধু থাকলেও কোনো দেশকেই তারা ‘শত্রু বা প্রভু’ হিসেবে বিবেচনা করেন না। গতকাল ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি বলেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর যে সহযোগিতার আশ্বাস, এটা বিএনপির অন্তর্জ্বালার কারণ হচ্ছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটূ কথা তারা বলে, বিরূপ সমালোচনা করে। এই মহলটি অতীতে বাংলাদেশ ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে ঠিক করে মেরামত করছেন। এটা তাদের পছন্দ হয় না। খবর বিডিনিউজের।
বিএনপির রাজনৈতিক ধারার সমালোচনা করে কাদের বলেন, এরা তাকিয়ে থাকে বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে, বাংলাদেশের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারে না। এর ফলে নিষেধাজ্ঞা–নিষেধাজ্ঞা বলে চাতকের মতো কত অপেক্ষা। এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এল… শেখ হাসিনা চলে গেল! এই কটূ কথা কত যে শুনলাম। অবশেষে কী নিষেধাজ্ঞা এল? ভিসানীতি! এতে সরকারের কী হলো? কিছুই হলো না।
বিএনপি এই ভিসানীতি নিয়ে ‘নাটক সাজাচ্ছে’ অভিযোগ করে কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকার মোটেও ‘বিচলিত নয়’। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, শত্রু নেই। বিদেশে বঙ্গবন্ধুর কোনো প্রভু ছিল না, শেখ হাসিনারও কোনো প্রভু নেই। সহযোগিতা করার মতো বন্ধু আমাদের আছে। একাত্তরে বন্ধু দরকার ছিল, সে বন্ধু আমরা পেয়েছি। যারা শত্রুতা করার তারা করেছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পেরেছি। বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারেনি।
ভিসানীতি নিয়ে সরকারের ‘অসন্তুষ্ট হওয়ার বা মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই’ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি ‘আক্রমণ করে নাটক সাজাচ্ছে’ দাবি করে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই আক্রমণ করা যাবে না। নির্বাচন অবধি তৃণমূল পর্যন্ত শান্তি সমাবেশ অব্যাহত রাখতে হবে। বিএনপি দেখাতে চাইছে আমরা আক্রমণকারী। কেরানীগঞ্জে আক্রমণকারী তারা, অথচ বিদেশিদের কাছে প্রচার করেছে আক্রমণকারী হচ্ছে আওয়ামী লীগ। কাজেই কোনো অবস্থাতেই আক্রমণ করবেন না। আক্রমণ করব না। কিন্তু আক্রমণ করলে ছাড় দেওয়া হবে না। নেতাকর্মীদের বিভেদের রাজনীতি না করে ঐক্য জোরদার করার আহ্বানও জানান তিনি।
বিএনপি ‘গণ্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছে’ অভিযোগ করেন কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন অবধি তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের শান্তি সমাবেশ আমরা অব্যাহত থাকবে। কারও সঙ্গে পাল্টাপাল্টি করার কোনো কর্মসূচি আমাদের নেই।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের চীন সফর এবং আগামীতে ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল চীনে গেছে। এগুলো পার্টি টু পার্টি কন্ট্যাক্ট। এসব বৈঠকে অনেক কিছু আলোচনা হতে পারে।