যে মানুষগুলো তাদের দুঃখগুলো ছড়িয়ে দেয়না কোন ভাবেই, কাউকে বুঝতে দেয়না কোন মুহুর্তেই যে মানুষগুলো তাদের কষ্টের অধ্যায়গুলো সম্পর্কে কাউকে জানান না দিয়ে দিব্যি হাসি মুখে দিন চালিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে আমার প্রচন্ড ভালো লাগে। এক অদ্ভুত মায়া কাজ করে তাদের জন্য। এবং সম্মানটা মনে থেকেই আসে।
এই মানুষগুলো না, আর দশটা মানুষের মতো নয়। এদের দেখলে বোঝার সাধ্য নেই, তাদের ভিতরে ঠিক কী পরিমাণ ঝড় বয়ে যাচ্ছে রোজ। কী পরিমাণ যুদ্ধ করছে নিজের হাসিমুখটাকে সবার মাঝে তুলে ধরতে গিয়ে। কারণ এরা করুণা চায়না মোটেও। এদের আত্মসম্মান সবকিছুর ঊর্ধ্বে। কোনো কিছু করার আগে এরা হাজারবার ভেবে নেয়, এই কাজটা ঠিক তার সাথে মানায় কী না। তার সাথে যাচ্ছে কিনা। এরা একটু বেশি সচেতন হয়ে থাকার চেষ্টা করে। যাতে তাদের দুঃখী ভেবে কেউ করুণা করে না বসে। এদের অন্ধকার পছন্দ, কোলাহল এদের কম্ফোর্ট জোন নয় মোটেই, এরা স্বল্পভাষী তাই চুপচাপ থাকাতেই বেশি স্বস্তি পায়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এরা বেশ যত্নবান হয়। যত্ন দিয়ে গড়ে সম্পর্ক তারা আঘাত পেয়েছে বলেই, আঘাতের শোক বোঝে। তাই তার প্রিয় মানুষটাকে আঘাত পেতে দেয় না একদমই। এরা ভুলো মনের হয় খুব। তবে আফসোসের ব্যাপার হলো, এরা আর সবকিছু ভুলে গেলেও কষ্টগুলো ভুলতে পারে না কোনো মতেই। যেনো ভুলে যাওয়ার বাহানায় আরো হাজারবার মনে করে ফেলে। হ্যাঁ এই মানুষগুলো কিছুটা অন্য রকম। এরা ভালোবাসা না পেলে ম‘রে যায় না। তবে আঘাত পেলে বেঁচে থাকার আনন্দ হারিয়ে ফেলে। কিছুতেই বের হতে পারে না সেই লুকিয়ে রাখা আঘাত থেকে।