বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থাগুলোর পরিকল্পনাহীন এবং সমন্বয়হীন কাজে এসব মেগা প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে না চট্টগ্রামবাসী। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে সরকারের ব্যয়ও।
গতকাল রোববার বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দৈনিক পূর্বকোণ সেন্টারের ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি এবং দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। অনেক উন্নয়ন কাজ চলছে চট্টগ্রামে। কিন্তু সেগুলো পরিকল্পিত নয়। যে কারণে সুফল আসছে না। এসব নিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটিকে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এই কমিটির হাত ধরে। তিনি বলেন, আমরা শুধু বসলাম, আলোচনা করলাম; এভাবে হবে না। সব একসাথে হয়তো সমাধান করতে পারবো না। দুইটা ইস্যু নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করবো। কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবো। প্রয়োজন হলে আন্দোলন করবো। এটাই আমাদের করতে হবে। সবকিছু একসাথে করতে গেলে কিছুই হবে না। বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির কার্যকরী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, জলাবদ্ধতা নিয়ে সরকার একাধিক প্রকল্প নিয়েছে। কিন্তু সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় এসব প্রকল্পের সুফল মিলছে না। প্রকল্পের কাজও শেষ হচ্ছে না। ওয়াসা নগরীর প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় পাইপলাইন স্থাপন করেছে। কিন্তু এরমধ্যে অনেক এলাকায় পানি যাচ্ছে না। তিনি বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি। হচ্ছে, হবে; এমন কথা দীর্ঘদিন ধরে বারবার বলা হলেও কালুরঘাট সেতু নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। গত শুক্রবার রেল সচিব চট্টগ্রামে এসে আগামী বছরের প্রথম দিকে নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে কথা দিয়েছেন। আমরা আশা করবো তিনি এই কথা রাখবেন। সভায় আগামী বুধবার কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন, জলাবদ্ধতা প্রকল্প নিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান ও প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক, মশার উৎপাত নিয়ে সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক, চট্টগ্রামে পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন বন্ধ করতে ও কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষায় সব সংস্থাকে নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।