‘সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলাম’

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩০ জুলাই, ২০২২ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

তানভীর হাসান হৃদয় (১৮)। হাটহাজারী থানার আমানবাজার শিকারপুর এলাকার প্রবাসী আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি হাটহাজারীর কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী। সকাল ৮টায় আমানবাজারে নিজেদের কোচিং সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে সকলেই ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মাইক্রোবাসে উঠেছিলেন মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনার উদ্যোশে। ভালোভাবে ঝরনায় পৌঁছলেও ফেরার পথে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১৮ জনের মধ্যে মুহূর্তেই ১১ জন চলে যান না ফেরার দেশে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেন তানভীর হাসান হৃদয়সহ ৬ জন।
গতকালের দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে হৃদয় এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৮ নং নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। গতকাল সন্ধ্যায় তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কীভাবে বেঁচে গেলাম একমাত্র আল্লাই জানেন। আমরা প্রচুর আনন্দ করেছিলাম। যখন জুমার আজান দিচ্ছিল তখন আমরা ঝরনায় ছিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে মাইক্রোতে ভালোই ভালোই ফিরছিলাম। কিছুদূর যেতেই আমার ঘুম এসে যায়। সোয়া ১টার দিকে আমাদের মাইক্রোবাসটি খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় রেলক্রসিং পার হতেই চোখের পলকে বিকট শব্দে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারলাম। তখন ভেতরে সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলাম। এরই মধ্যে কে কোন দিকে, কার কী অবস্থা আর বুঝতে পারিনি। একসময় ট্রেনটি থামলে আমাদের চিৎকারে লোকজন এসে গ্লাস ভেঙ্গে আমাদেরকে বের করে।
তিনি বলেন, মাইক্রোবাসে আমরা ১৮ জন ছিলাম, ৪ জন কোচিংয়ের শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন চালক ও সহযোগী ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল ফাইনালের আরও কাছে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধ‘শেষ সিটে ছিলাম তাই বেঁচে যাই’