সমুদ্রের আছে এমনি এক অমোঘ আকর্ষণ! প্রতিদিন
গোধূলী-রাঙা সূর্যের যেতে হয়
তার কাছে। অবাক করে দিয়ে
মধ্যরাতের জ্বলজ্বলে শশীকলাও টুপ করে ডুব দিলো
সে জলে! মুহূর্তে নিকষ কালো আঁধার গ্রাস করলো
আমার জন্য বরাদ্দ আকাশ। একটাও তারা আজ আর
আমার নজরবন্দি করা গেলোনা।
বিভাবরী যেন ঘুমিয়ে পড়া দুরন্ত শিশুটির
আদুরে অবয়ব। আমি নিনির্মেষ তাকিয়ে থাকি
তার পানে। স্বার্থপরের মতো আমার যন্ত্রণাগুলি
সঁপে দিতে উন্মুখ। অকারণেই অশ্রুসজল।
কিংবা অন্ধকারের বীভৎস সৌন্দর্য উস্কে
দিয়েছে সিক্ত অনুভূতির অলিগলি।
একশ ত্রিশ ফিট উচ্চতা আর দুশো ফিট দূরত্ব
ছাপিয়ে একটি ছায়ামানব, এবং একটি কুকুর।
দুজনে পায়চারিরত। এবার, এক, দুই, তিনটি
ছায়ামূর্তি, সাথে সেই বিশ্বস্ত বন্ধু। আর বসে থাকা যাচ্ছেনা।
বালিশটা বিছানায় দাঁড় করিয়ে নিজেকে একটু হেলিয়ে দিয়ে
কিছুটা আরাম খোঁজার বৃথা চেষ্টা। তবুও চোখ
চলে যায় রাতের অন্ধকার ভেদ করে
চলমান, অস্পষ্ট আকৃতি। এবার দু’একটা পাখির ডাক
শোনা যায়। অন্ধকার ফিকে হতেই মিলিয়ে যায়
রাতজাগা কিছু মানব মূর্তি ও একটি কুকুর।
খুব জানতে ইচ্ছে করে, কি ছিল তাদের গল্প!
জানা গেলো, পৃথিবীর সব গল্প শোনার জন্য
সৃষ্ট নয়, তারা কেবল দেখার আর নিজের মতো করে
সাজিয়ে নেয়ার।
তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, সব গল্প জানা হয়না
কিংবা জানতে নেই!