শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর বিভিন্ন এলাকায় এখনও চলছে বিক্ষোভ। এরই মধ্যে ১০০ দিন পরে কাজ শুরু হল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কর্যালয়ে। কড়া সেনা নিরাপত্তায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের দফতরে কাজ শুরুর কথা গত সোমবার সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে গত শুক্রবার দায়িত্ব নিয়েছেন রনিল। শনিবার ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দীনেশ গুণবর্ধনে। মাহিন্দার জায়গায় তদারকি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে দফতরে কাজ শুরু করেছিলেন ইউএনপি দলের নেতা রনিল। এ বার তার উদ্যোগে ১০০ দিন পরে খুলল প্রেসিডেন্টের দপ্তর। দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রতিবাদে গত মার্চ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায়। গত ৯ এপ্রিল বিক্ষোভকারীরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার দপ্তর অবরোধ শুরু করেন। প্রায় একই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা গোতাবায়ার বড়ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসের দপ্তরের সামনেও শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। প্রবল জনবিক্ষোভের জেরে মে মাসের শুরুতে আত্মগোপন করেন মাহিন্দা। তার দপ্তর বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যায়। এর পর ৯ জুলাই গোতাবায়ার দপ্তরে ঢুকে পড়েন এক দল আন্দোলনকারী। পর তাকেও আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গত ১৩ জুলাই তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল।