১৯৫৮’র ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক বয়স্কাউটস র্যালির সমাপ্তি অনুষ্ঠান। নতুনভাবে গড়ে উঠা রমনা পার্কে সমাবেশ। গোধুলির আভা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসুক হয়ে আছি প্রধান অতিথির আগমনের অপেক্ষায়। বিশাল এক জাতীয় পতাকা উড়িয়ে মোটর সাইকেল ও তিন জীপ দেহরক্ষী সহ তোড়নের সামনে এসে দাঁড়ায় একটি সাদা রংয়ের মার্সিডিজ। আমরা চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম হাইস্কুল ২০ জনের দল প্রস্তুত হলাম কাঙ্ক্ষিত প্রধান অতিথিকে গার্ড অব অনার দেয়ার জন্য। গাড়ির দরজা খোলার পর লাঠির উপর ভর নিয়ে দীর্ঘকায় একটি বিরাট দেহ নিয়ে যিনি বের হয়ে এলেন তিনি হলেন আমাদের প্রধান অতিথি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর (১৯৫৬-১৯৫৮) ও চীফ স্কাউট শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। যেমনি বিরাট দেহ তেমনি উচ্চতা। মাথায় লাল রংয়ের ঝুটিওয়ালা তার্কিজ টুপি গায়ে ঘি রংয়ের সাদা শেরোয়ান অন্য দশজন বাঙালির চেয়ে বেশ পার্থক্য। বয়সের ভাড়ে একটু ন্যুজ্ব হয়েছেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ৮৫ বছর।
আমাদের চিহ্নিত এলাকায় আসতেই আমাদের দলপতি তাকে প্রথামাফিক সালাম জানালে তিনি হেসে হাত বাড়িয়ে দেন। গার্ড অব অনারের নিয়মে পরিদর্শন করলেন না। বাঙালীর দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীর প্রাণপ্রিয় নেতা নাতি-পতিসম বয়সীদের কাছে সিংহ হৃদয়ের দ্বার খুলে আমাদের উপলব্ধি করতে দিলেন পরিদর্শনের নামে হেঁটে চলে যাওয়ায় বিদেশি কায়েদা এতে আন্তরিকতা নাই। এটা পরিহার কর-বর্জন করতে হবে। তাই তিনি হেটে চলে না গিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলেন আমাদের দলের প্রত্যেকের কাছে। নাম জিজ্ঞেস করলেন আর জানতে চাইলেন কি পড়ি, ভবিষ্যতে কি হবার ইচ্ছা। আমরাতো শেরে বাংলাকে পেয়ে মহাখুশি। সবাইকে বিস্মিত করে বললেন, “তোমরাতো আমার নাতি, তাই তোমাদের প্রত্যেককে আমার মত শেরে বাংলা হতে হবে।” যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এই মহান নেতা – স্মরণীয় উক্তিটি হৃদয়ঙ্গম করতে চেষ্টা করব।
আমাদের এই বুড়ো দাদু শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৬২’র ২৭ এপ্রিল শুক্রবার সকাল আটটার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তরতর করে সময়ে বয়ে যাচ্ছে। স্বীয় জীবন হতে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত চোখের পলকে কত পরিবর্তন, পরিবর্ধন আর ধ্বংসও সৃষ্টি হচ্ছে। এটাই সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাকের সৃষ্টির এক অপরূপ খেলা। আর এই খেলারই মাঝে তিনি সৃষ্টি করেন এমন কিছু মানুষ যাঁরা মানুষের কল্যাণের জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার সেবা করে যান, নেতৃত্ব দেন নিস্বার্থভাবে, ফলে তাঁদের মৃত্যুর পর তঁরা হন ভবিষ্যৎ বংশধরদের কাছে নিঃস্বার্থবান ত্যাগী মহাপুরুষ।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে, সাম্প্রতিককালে তাদের স্মরণ করা হয় অতি অল্প পরিসরে আবার আদৌ স্মরণ করা হয় না। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যার যা প্রাপ্য তা এখনও আমরা দিতে শিখি নাই। এই অজ্ঞতা, অক্ষমতা এবং ইচ্ছাকৃত এড়িয়ে চলাটা কিন্তু আগামীতে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। এই অক্ষমতা-অমানবতার রাহুগ্রাস থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবেই। তাদের মাজারে আমাদের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীরা যান না। এমতাবস্থায় অসহনীয় দুঃখ ও লজ্জাজনক। শেরেবাংলা ১৮৭৩’র ২৬ অক্টোবর নদীর দেশ বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯০ সালে বরিশাল জেলা স্কুল হতে বিভাগীয় বৃত্তিসহ এন্ট্রাস পাস করে প্রেসিডেন্সী কলেজ হতে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে অনার্স নিয়ে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি পান। ১৮৯৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি ও অঙ্ক শাস্ত্রে কৃতিত্বের সাথে এম.এ. ও ১৮৯৭ সালে ডিস্টিংশনসহ আইন ডিগ্রি লাভ করেন।
এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব সম্ভবত শেরে বাংলাই একমাত্র নেতা যার শিক্ষা, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন ছিল বৈচিত্রপূর্ণ। শিক্ষা জীবনে যেমন বিজ্ঞান, ইংরেজি সাহিত্যে গভীর মেধার পরিচয় দেন তেমনি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনেও ছিল আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ তিনি মুসলিম লীগের (১৯০৬) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। একই সময়ে ১৯১৮ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি ও নিখিল ভারতের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, কৃষক প্রজা আন্দোলনের মহানায়ক ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন বাংলার হিন্দু-মুসলমানের কল্যাণের জন্য যখন যেই নীতি প্রয়োজন তখন সেই নীতিই অনুসরণ করতে দ্বিধান্বিত হওয়া উচিত নয়। তাই তার সুদীর্ঘ জীবনে মুসলিম লীগ, কংগ্রেস ও কৃষক প্রজা পার্টি ও কৃষক শ্রমিক পার্টি তাঁর অতুলনীয় নেতৃত্ব লাভ করেছিল। এসব দলের প্রসার ও জনপ্রিয়তার মূলে ছিল তাঁর বিরাট ব্যক্তিত্ব ও অপূর্ব জনপ্রিয়তা। তিনি নিজেই বলতেন “বাংলার সাধারণ মানুষকে ভালবেসেছি এই ছিল আমার একমাত্র অপরাধ, তা না হলে কখনো কোন নির্দিষ্ট মত ও পথ হতে সরে যাওয়ার প্রয়োজন হত না।” তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানুষের কল্যাণের জন্য নীতি, নীতির জন্য মানুষ নয়। তিনি বলতেন “নিরন্ন কৃষকের কথা মনে করে আজকে সেই কাজটি উত্তম বলে গ্রহণ করেছি হয়তো পরের দিন প্রত্যক্ষ করেছি যে, রাজনীতির কুটিল আবর্তে তাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, আর তখন বাধ্য হয়ে নীতি পাল্টাতেও হয়েছে।
১৯৩৭’র ৩ মার্চে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচনের পর শেরে বাংলার নেতৃত্বে কৃষক প্রজা দল ৩৬, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে বঙ্গীয় মুসলিম লীগ ৩৯ ও স্বতন্ত্র ৪৩ সদস্যের সমর্থনে শেরে বাংলার নেতৃত্বে অবিভক্ত বাংলায় ২ এপ্রিল ’৩৭ প্রথম মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। তিনি বৃটিশ শাসনামলে অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী (২ এপ্রিল ’৩৭ – ১ ডিসেম্বর ’৪১) নির্বাচিত হন এবং ১৯৩৮ সালে মুসলিম লীগে পুনঃযোগ দিয়ে দলের প্রাদেশিক সভাপতি (৩৮-৪১) হলে দলের সভাপতি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর কিছু বিষয়ে মত পার্থক্য দেখা দিলে তাঁর মন্ত্রীসভা হতে এর সভাপতি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিন মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেন। মি. জিন্নাহ শেরে বাংলাকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে দল হতে বহিষ্কার করেন। কিন্তু ৪১ সালে দল হতে বহিস্কৃত হওয়ায় তাঁর মন্ত্রীসভার পতন ঘটলে কৃষক প্রজা দল ও অন্যান্য স্বতন্ত্র সদস্যদের নিয়ে শ্যামপ্রাসাদ মুখার্জীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের সাথে আতাতে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী (১০ ডিসেম্বর ৪১ – ২৮ মার্চ ৪৩) নির্বাচিত হন।
১৯৫৪’র ৩-৭ মার্চে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে শেরে বাংলা – হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী-মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-আবুল হাশিম- মাওলানা আতাহার আলীর নেতৃত্বে যুক্ত ফ্রন্ট ২৩৭টি মুসলিম আসনে ২২৩ টিতে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসন ও স্বতন্ত্র ৫টিতে জয়লাভ করে। যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, খেলাফতে রব্বানী ও নেজামে ইসলাম সমন্বয়ে। শেরে বাংলা হলেন যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভার মুখ্যমন্ত্রী (২ এপ্রিল – ৩০ মে ৫৪)।
শেরে বাংলা সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী (২ এপ্রিল – ৩০ মে ’৫৪) থাকাকালে পশ্চিমবঙ্গ সফরকালে ৫৪’র ৩০ এপ্রিল কলকাতায় সংবর্ধনা সভায় ভাষণদানকালে বলেছিলেন – ‘রাজনৈতিক কারণে বাংলাকে বিভক্ত করা যেতে পারছে। কিন্তু বাঙালির শিক্ষা, সংস্কৃতি আর বাঙালিত্বকে কোন শক্তিই কোনদিন দ্বিধাবিভক্ত করতে পারবে না। দুই বাংলার বাঙালি চিরকাল বাঙালিই থাকবে (দৈনিক ইত্তেফাক / ১১ এপ্রিল ৫৪/১ম পৃষ্ঠা)।
আর তার এই উক্তিকে পাকিস্তানের মুসলিম লীগ সরকার ও পশ্চিম পাকিস্তানী আমলারা চক্রান্তমূলকভাবে গভর্ণর জেনারেল গোলাম মুহাম্মদকে দিয়ে বাংলায় ৯২ ক ধারা জারী করে শেরে বাংলার মন্ত্রীসভা (৩০ মে ৫৪) ভেঙ্গে দেয়। প্রতিরক্ষা সচিব মে. জেনারেল এস্কান্দার মীর্জাকে গভর্ণর নিয়োগ করা হয়। শেরে বাংলাকে গৃহ অভ্যন্তরীণ (হাউস এস্টেট) করে বঙ্গবন্ধু সহ বহুমন্ত্রী ও যুক্তফ্রন্ট নেতাদের কারাবন্ধী করে। বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে শেরে বাংলা ও সোহরাওয়ার্দী আপসহীন নেতৃত্ব দিলেও বৃটিশ সরকার তাদের গ্রেফতার করতে সাহস করেনি, কিন্তু এই নেতৃত্বের বলিষ্ঠ অবদানে সৃষ্ট পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের তথাকথিত অগণতান্ত্রিক সরকার গোলাম মুহাম্মদ ও মোহাম্মদ আলী বগুড়া (প্রধানমন্ত্রী ১৭ এপ্রিল ’৫৩ – ২৬ আগস্ট ’৫৫) নেতৃত্ব শেরে বাংলাকে গৃহ অভ্যন্তরীণ করে বিশ্বাসঘাতক ও দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছিল তেমনি সৌহরাওয়ার্দীকে জেনারেল আইয়ুব খান দেশে বিশৃঙ্খলার দায়ে ৬২’র ৩০ জানুয়ারি করাচিতে কারারুদ্ধ করার মত হীনতম ভূমিকা পালন করেছিল।
শেষ জীবনে শেরে বাংলা পাকিস্তানের চৌধুরী মুহাম্মদ আলী নেতৃত্বে মুসলিম লীগ কেএসপি কোয়ালিশন মন্ত্রীসভার (২৬ আগস্ট ’৫৫ – ১০ সেপ্টেম্বর ’৫৬) সিনিয়র মন্ত্রী সহ স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রী এবং ৫৬’র ১৮ মার্চ হতে ৫৮’র জুলাইর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর ছিলেন।
শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক ১৯৪০ ’র ২৩ মার্চ লাহোর ঐতিহাসিক মিন্টু পার্কে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কাউন্সিলে পাকিস্তান প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তবে বলা হয় ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত মুসলিম রাজ্যগুলির স্বাধীনতার কথা। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, পরবর্তীতে মুসলিম লীগ সভাপতি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও উর্দুভাষী নেতাদের ঘৃণ্যতম চক্রান্তের ফলে রাজ্যগুলির পরিবর্তে একটি রাষ্ট্রবলে সংশোধন করে ফেলে, বাংলা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯৪৩-৪৭) আবুল হাশিম, উত্তর প্রদেশের হযরত মোহানী, চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী সহ ৫ জন নেতা তীব্র বিরোধীতা সত্ত্বেও তা নিরঙ্কুশ ভাবে পাশ হয়ে যায়। কায়েদে আজমের বক্তৃতা ও পত্রাবলী জহুর আহমদ চৌধুরী ও অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী / চট্টগ্রাম-১৯৪৮) শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক একজন আদর্শবান বাঙালি ছিলেন। তিনি জানতেন যে ভারতের অবশিষ্ট অংশ বাংলাকে তত সুনজরে দেখে না, বা ভালবাসে না, ধর্মের নামে প্রতারণা করে। তিনি কখনও অবাঙালি নেতৃত্বের কাছে মাথা নত করেননি বলেই মুহাম্মদ আলী জিন্নাহের সাথে প্রকাশ্যে সংঘাত ছিল। অবিভক্ত বাংলা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গ আইন পরিষদের প্রথম বিরোধী দলের নেতা (১৯৪৭-৪৮) আবুল হাশিমের মতে ‘সোহরাওয়াদী ও খাজা নাজিমুদ্দিন প্রায়শ মি. জিন্নাহর বন্ধনে আবদ্ধ হতেন। এর ফলে শেরে বাংলা বাংলার প্রধানমন্ত্রী হয়েও স্বচ্ছন্দ গতিতে কাজ করতে পারেনি এবং মুসলিম লিৈগর প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রকাশে ব্যর্থ হওয়ার এটা ছিল দ্বিতীয় কারণ” (স্মৃতিকথা/আবুল হাশিম)।
বাংলার ইতিহাসে একটি মূল্যবান, অনুকরণীয় ও আদর্শিক দিক হল বাংলার তিন মহান ঐতিহাসিক সন্তান শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুকালে বিশাল স্থায়/অস্থায়ী সম্পত্তি, দেশ-বিদেশে বিরাট অঙ্কের অর্থ গচ্ছিত রেখে যাননি পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য কিন্তু সমগ্র জাতির জন্য রেখে গেছেন তাদের অতুলনীয় ভালবাসা, আদর্শ, নীতি, ত্যাগ ও সেবার প্রলম্বিত ইতিহাস।
লেখক : জীবন সদস্য-বাংলা একাডেমি; সভাপতি (৭২-৯০), শেখ মুজিব গণপাঠাগার (গহিরা, রাউজান, চট্টগ্রাম) ও কলামিস্ট।