শুভ বড়দিন আজ। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক মহামতি যিশুর এদিন মাটির এ ধরাধামে আবির্ভাব ঘটে। ২ হাজার ১৫ বছর আগে এদিনে জেরুজালেমের বেথেলহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে দিনটি। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। তাই আজ বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সমপ্রদায়ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করবে তাদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব উদযাপিত হবে। বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চসিক প্রশাসক খোরশেদ সুজন পৃথকভাবে খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বড়দিনের উৎসব ঘিরে সাধারণত যিশুর ভক্তরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের ফল্গুধারা। নানা ধর্মীয় আচার পালিত হয়। বর্ণিল আলোকের রোশনাইয়ে হেসে ওঠে গির্জা ও ঘরদোর। যিশু গোয়াল ঘরে জন্মেছিলেন বলেই তার অনুসারীদের ঘরে ঘরে প্রতীকী গোশালা করা হয়। আরও থাকে ক্রিসমাস ট্রি। বিশেষ প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় দিনটি। প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকেন সান্তাক্লজ। তিনি আসেন শিশুদের জন্য নানা উপহার ও চমক নিয়ে। এ কারণে সান্তা তার ঝুলিতে করে কী নিয়ে আসবেন- সেই অপেক্ষায় থাকে শিশুরা।
নগরীর অভিজাত হোটেলগুলোকেও ছুঁয়ে যায় বড়দিনের উৎসবের আভা। তারকাবহুল হোটেলগুলো ইতোমধ্যে সাজানো হয়েছে রঙিন বাতি, ফুল আর প্রতীকী ক্রিসমাস ট্রিতে। চট্টগ্রামের পাথরঘাটা, জামাল খান এলাকার গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। গির্জার ভেতর বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জায় দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার, সরকারি-বেসরকারি টিভি ও বেতারে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সমপ্রচার করা হবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।