আজ এমন একজনের কথা তরুণদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যিনি মস্তিষ্ক ও কঠোর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক সাফল্যের চূড়ায় উপনীত হয়েছেন। বলছি, বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের কথা। ছোটবেলা থেকেই ইলন মাস্ক ছিলেন পরিশ্রমী ও মিতব্যয়ী। মাত্র ১২ বছর বয়সে জীবনের প্রথম গেমটি বানিয়ে ৫০০ ডলারে বিক্রি করে দেন। বাংলাদেশের ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএঙের তৈরি ‘ ফ্যালকন-৯’ রকেট এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হলেন ইলন মাস্ক।পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত আবিষ্কার যেমন হচ্ছে ঠিক তেমনি নানান সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। জীবন যুদ্ধে নামলেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রেই কমবেশি সমস্যা থাকে।
এক্ষেত্রে ইলন মাস্কের কথা হলো, একজন সফল উদ্যোক্তা ও নেতা হিসেবে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আপনার কর্মীরা যেন তাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। নিজেদের সত্যিকার ব্যক্তিত্ব আর সৃষ্টিশীলতা যেন তারা (কর্মীরা) তুলে ধরতে পারে। সেটা নিশ্চিত করা একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব। তিনি তাঁর কোম্পানির জন্য প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়ার সময় আগে যাচাই করেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর একজন চাকরি প্রাপ্তির দক্ষতা কতটুকু। এক্ষেত্রে কোডিং, প্রোগ্রামিং বিষয়ে গুরুত্ব দেন বেশি। তাঁর মতে, ‘এ কাজের জন্য কোনো বড় ডিগ্রি কিংবা পিএইচডির প্রয়োজন নেই। তবে তাঁর কোম্পানিতে কাজ করতে হলে শুধু দক্ষতাই শেষ কথা তা কিন্তু নয়। তাঁর মতে, আচরণও হতে হবে ভালো। তিনি মনে করেন সহকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া ও পছন্দ করা জরুরি। এই সফল মানুষটার জীবনে যে ব্যর্থতা আসেনি তা কিন্তু নয়। তবে ব্যর্থতা থেকে শিখেছেন অনেক কিছুই। তাই তরুণদের জন্য তিনি দিয়েছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ।
১. যতটুকু সম্ভব পড়াশোনার মধ্যে থাকা। ২. জীবনের স্বপ্নটা হতে হবে বড়। ৩. গোল বা লক্ষ্য সেট করুন। ৪. সবার মতামত গুরুত্বপূর্ণ হবে-তা মনে না করা। আমার অনেক কাজ নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করতো কিন্তু আমি সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি। ৫. শিডিউল বা সময় অনুসরণ করা। টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটিতে যদি আপনি অনভিজ্ঞ হোন জীবনে উন্নতি করা একেবারে অসম্ভব। বড় বড় মিটিং আর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন কোনো কাজেই আসবে না যদি না সময়কে গুরুত্ব দেয়া না হয়। ৬. ক্রিয়েটিভ চিন্তা করুন। আপনি যদি অন্য আর দশ মানুষের মতো চিন্তা করেন তাহলে জীবনে খুব বেশি পরিবর্তন আপনি লক্ষ্য করবেন না। তাই ছাত্র কিংবা তরুণ অবস্থায় ক্রিয়েটিভ বা ইনোভেটিভ চিন্তা করুন। ৭. মোবাইল ফোনে আপনি এমন সময় ব্যয় করা থেকে বিরত থাকুন যেনো পরবর্তী জীবন ধাপে আপনাকে আফসোস করতে না হয়। ৮. যে কাজটা ভালো লাগে সেটাই করুন। তেমন না হলে কাজে সফল হওয়া কঠিন হয়ে যায়।
আমাদেরও আছে এমন হাজারো মেধাবী তরুণ যাদের হয়তো বড় বড় সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি নেই কিন্তু আছে মেধা ও দক্ষতা। যারা একটু পরিশ্রম করলে, উৎসাহ, অনুপ্রেরণা পেলে আর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তারাও পারে আমাদের দেশের জন্য ভালো কিছু করে দেখাতে।