‘শুধু পাঙ্গাস মাছ খাওয়ানো হয় না’

নারী ফুটবলারদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের দাবি বাফুফের

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ১২ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল গত এক বছরে অসাধারণ অগ্রগতি দেখিয়েছে। সিনিয়র দলের পর অনূর্ধ্ব২০ দলও প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। এদিকে নারী ফুটবলারদের খাবার নিয়ে কথা উঠেছে। নারী ফুটবলাররা বাফুফের ক্যাম্পে থাকেন। সেখানে খাবারের পুষ্টিগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রায়ই। সিনিয়র ও অ২০ দুই দলই এশিয়ার মূল পর্বে উঠলেও নারী ফুটবলারদের পুষ্টিহীনতার বিষয়টি আবার উঠে এসেছে আলোচনায়। বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ এ নিয়ে বলেন, ‘পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত হব না। বাফুফের ডর্মেটরিতে যে খাবার দেওয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা।’ ফুটবলাঙ্গনে আলোচনা, নারী ফুটবলাররা বেশিরভাগ সময় পাঙাস মাছ খেয়ে থাকেন। নারী উইংয়ের প্রধান এটা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘অনেকেই বলে, আমরা এখানে পাঙ্গাশ মাছ খাওয়াই। বেশিরভাগ সময় রুইমাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। ইলিশ ও পাবদা খেতে চাইলে দেওয়া হয়। প্রতিদিন তো এমন খাবারই দেওয়া হয়। মেয়েরা যদি ঠিকমত খেতেই না পারে তাহলে ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। ওরা তো ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলে। না খেয়ে খেলে? পাঙ্গাস মাছ খেয়ে খেলে? না, তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি। ছোটবেলা থেকে তাদের যে সমস্যা ছিল, সেটা তো আমরা কাটাতে পারব না।’ লাওসে অনূর্ধ্ব২০ দলের সাফল্যে খুশি হয়ে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, নিজের উদ্যোগে মেয়েদের হাতে ছোট একটি গিফট তুলে দেবেন তিনি। লাওস থেকে দল দেশে ফিরে এলে আজ তাদের উপহার দেবেন কিরণ। কিরণ বলেন, ‘আমার তরফ থেকে ছোট একটি গিফট থাকবে, যা প্রকাশ করা হবে না। আমি বাফুফে ভবনের চার তলায় গিয়ে ওদের হাতে তুলে দেব।’ এর আগে সিনিয়র নারী দল দেশে ফিরে সংবর্ধনা পেয়েছিল। অনূর্ধ্ব২০ দলের জন্য সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে বাফুফে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান কিরণ। নারী ফুটবলের কাঠামো সম্পর্কে কিরণ বলেন, ‘একই বছরে সিনিয়র ও জুনিয়ার দল দুটিই এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করায় প্রমাণিত হলো আমাদের পাইপলাইন কতটা শক্তিশালী। এটি দেখায় যে বাংলাদেশ নারী ফুটবল সঠিক পথে আছে এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।’ আগামী বছর এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডে ১২ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়ান কাপ। স্বাগতিক দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাংলাদেশ ও ভারত টিকিট পেয়ে গেছে। কিরণ জানিয়েছেন, ‘সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোতে অংশগ্রহণের ফলে অভিজ্ঞতা বাড়ে এবং কোয়ালিফিকেশনে সহায়তা পাওয়া সম্ভব হয়।’ তবে একই বছরে পরপর দুটি বড় টুর্নামেন্টের জন্য আর্থিক সমস্যা রয়েছে। কিরণ বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হবে। আমরা বাফুফের সঙ্গে বৈঠক করে প্র্যাকটিস ম্যাচ এবং ট্রেনিংয়ের আয়োজন করার চেষ্টা করব। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছি না।’ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের সঙ্গে খেলার পরিকল্পনা রয়েছে। কিরণ আশা প্রকাশ করেন, সঠিক সহায়তা পেলে বাংলাদেশ নারী ফুটবল আরও উন্নতি করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ৩৪ সদস্যের চট্টগ্রাম জেলা দল ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধএএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে আজ কিরগিজ ক্লাব মুরাসের মুখোমুখি আবাহনী