শিশুরা সমাজের সবচেয়ে ক্ষুদ্র নাগরিক হলেও শিশুকাল একজন মানুষের ভবিষ্যৎ জীবন গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ এবং সুশিক্ষা নিশ্চিত করে শিশুকে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এই সময়টা থেকেই।
আমার মেয়ে নির্ঝরা-নাজিবাহ সেদিন বলছিল, আব্বু রাস্তায় কতগুলো লোক ঝগড়া করছিল এবং পচা পচা কথা বলছিল। কীভাবে যে ওদের বোঝাই লোকগুলোর নৈতিক শিক্ষার বড়ই অভাব। সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টাও হয়তো ভেস্তে যাবে কোন এক সময়। ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষাটা তার পরিবার থেকেই আসতে হবে প্রথমে। সেজন্য প্রত্যেক বাবা-মা, অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। জন্মের পরপরই শিশুর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তার শিক্ষা নিশ্চিতের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। কারণ, সন্তানকে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। আজকাল ছেলেমেয়েরা একটু বেশি স্বাধীনতা চায়, আর তারা একটু বেশি সংবেদনশীল। তাই খুব সহজেই ঘটে যায় নানা বিপত্তি। যেহেতে পরিবার ও সমাজের প্রভাব শিশুর উপর পড়ে সেহেতু প্রত্যেককে আচার ব্যবহার, কথা-বার্তা বলার সময় শিশুর প্রতি কী প্রভাব পড়তে পারে তা ভাবা উচিত। শিশুকে ছোটবেলা থেকেই আদব-কায়দা শেখানো জরুরি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশুকে নৈতিকতা ও সততার শিক্ষা দিতে হবে। আমরা অনেকে এ ব্যাপরটিকে গুরুত্ব দিই না। সচেতন থাকি না এ বিষয়ে। ক্ষেত্রবিশেষে নৈতিক শিক্ষাকে পুরোপুরি এড়িয়েই চলি। বিশ্বের সকল শিশুর সুশিক্ষা নিশ্চিত হোক। আমাদের আগামী প্রজন্ম হোক আদর্শবান ও নৈতিকতার বলে বলিয়ান।