শিশুদের স্কুলের পাশে গ্যাস সিলিন্ডারের ডিপো!

স্থানীয়রা বলছেন বিপজ্জনক।। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে : বিস্ফোরক অধিদপ্তর

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর অনন্যা আবাসিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শিশুদের স্কুলের পাশে গড়ে উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডারের ডিপো। স্থানীয়রা বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরক দ্রব্য। স্কুল লাগোয়া জায়গায় গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার মজুদ রাখা স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্যও বিপজ্জনক। শিশুদের একটি শিক্ষাঙ্গনের পাশে বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর একটি গ্যাস সিলিন্ডার ডিপোর জন্য কিভাবে ছাড়পত্র দেয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তবে বিস্ফোরক অধিদপ্তর বলছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, কাপ্তাই রাস্তার কুয়াইশ এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে অনন্যা আবাসিকে প্রবেশদ্বারের সন্নিকটে গড়ে উঠেছে শিশুদের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ‘ফ্রোবেল একাডেমি’। ওই বিদ্যালয়ের পাশের প্লটেই মজুদ রয়েছে অসংখ্য এলপিজি সিলিন্ডার। বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডার রয়েছে এখানে। তবে প্রতিষ্ঠানটির কোন সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই জায়গাটিতে আগে কংক্রিট মিক্সার প্লান্ট ছিল। মাস দেড়েক আগে থেকে এখানে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করছেন স্থানীয় হিরো নামের এক ব্যক্তি।
কথা হলে কুয়াইশ এলাকার নাজিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, আগে এখানে কংক্রিট মিক্সার প্লান্ট ছিল। ওই প্লান্টটি এখন নেই। ওই স্থানে এখন গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করা হচ্ছে। পাশেই একটি শিশুদের স্কুল নির্মিত হয়েছে। এখানে ছোট ছোট বাচ্চারা পড়তে আসবে। গ্যাস সিলিন্ডার হচ্ছে বিস্ফোরক দ্রব্য। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকবে। স্কুলের পাশে এ ধরনের সিলিন্ডার মজুদের কারণে প্রতিবেশও হুমকিতে পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘স্কুলের পাশেই গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করার জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স দেয়ারও কথা নয়।’
ওইস্থানে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদকারী মো. হিরো গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসায় আমাদের লাইসেন্স রয়েছে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরেরও লাইসেন্স রয়েছে। আমরা অনেকদিন ধরে এখানে সিলিন্ডার মজুদ করেছি। এখানে ভর্তি সিলিন্ডার আসে। তারপর বিভিন্নস্থানে সরবরাহ দেয়া হয়। দাহ্য কোন কাজ এখানে হয় না।’
বিস্ফোরক অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন দৈনিক আজাদীকে জানান, কুয়াইশ অনন্যা আবাসিক সংলগ্ন এলাকায় শিশুদের একটি স্কুলের পাশে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করার বিষয়টি আমরা জেনেছি। এখানে যারা গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করছেন, তারা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিয়েছেন কিনা জানি না, আমরা দ্রুততম সময়ে স্থানটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবাসার নিচে দুই হাজার গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ