জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলুর ছোট ভাই শিল্পপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)। গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় ঢাকার আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১। তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র ও এক কন্যাসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতরাত বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ মীরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রখ্যাত ব্যবসায়ী, চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও কাশেম–নুর ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী গত ২৭ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৮ আগস্ট তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসান মাহমুদ চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন–ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক এমপি মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, বিজিএমইএর প্রথম সহ–সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, বিএমএসএর সাবেক চেয়ারম্যান এএইচএম মনজুর আলম, সীকম গ্রুপ ও প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক, দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শামসুল আলম মাস্টার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কে এন হারবার কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালনক ও সিইও হাসান মাহমুদ চৌধুরী ল্যাটিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও থাই চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।