দেশের ভবিষৎ প্রজন্ম শিক্ষা দীক্ষায় পরিপূর্ণতা লাভ করার পর আসে কর্ম সংস্থানের কথা। এমনিতে শিক্ষা কেন্দ্রের সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের বয়স বৃদ্ধি হতে হতে চাকরির বয়স পার হয়ে যায়। তার মধ্যে দেখা যায় কোটা প্রথার কারণে চাকরির সন্ধান মিলাতে হিমশিম খেতে হয়।
দেশের ভবিষ্যৎ যাদের হাতে গড়ে উঠবে তাদের প্রতি যদি অন্যায় অবিচার করা হয়, তাদের যদি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবন গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে দেশের শৃঙ্খলাবিধি লঙ্ঘিত হতে হতে এক সময় বিস্ফোরণের সৃষ্টি হবে। যা আজ ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ঘটছে। কথায় আছে পেটে দিলে পিঠে সয়। দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত অভিভাবকরা অসহনীয় দুর্ভোগ ও কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করে ছেলে মেয়েদের ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত নিয়ে যায়। দারিদ্র্যতার করাল গ্রাস থেকে সংসারকে উদ্ধার করার জন্য আশায় বুক বেঁধে ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলে। তারপর শিক্ষিত হয়ে বেকার থাকতে থাকতে একসময় ছেলেমেয়েরা ডিপ্রেশনে চলে যায়। নেশাগ্রস্ত হয়ে সংসার, সমাজ ও দেশের বোঝায় পরিণত হয়। দেশে দিনে দিনে শিক্ষিতের হার বেড়ে চলেছে। সেই হারে চাকরির ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে না। যাও আছে তাতে শতকরা ৫৬% কোটার কড়াল গ্রাসে সম্পৃক্ত হয়ে আছে। চাকরি হিসাবে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষ্যের অধিক। সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ এই ছাত্র আন্দোলন থামানো হোক। আর কোন মায়ের কোল খালি না করে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকারদের মূল্যায়ণ করা হোক।
করুণা আচার্য
চট্টগ্রাম।