শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু শরীরে আঘাতের চিহ্ন

স্ত্রী আটক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৩ at ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ডিসি রোডের মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকায় একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অণ্ডকোষ থেতলানো পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের ওই শিক্ষানবিশ আইনজীবী চকরিয়ার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। গত বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা লিজাকে আটক করেছে পুলিশ।

পরে মামুনের ভাই মো. ইসকান্দার মির্জা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় লিজার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, একবছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন মামুন ও লিজা। ডিসি রোডের মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকার রফিক সওদাগরের বিল্ডিংয়ের ৬ তলায় বসবাস শুরু করেন। পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। লিজা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তিন মাস আগে মামুনকে মারধর করে লিজা।

পরে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়। এজহারে মো. ইসকান্দার মির্জা লিখেন, রাতে লিজা ফোন দিয়ে জানায়, মামুন অজ্ঞান হয়ে গেছে। অবস্থা খুব খারাপ। হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। কী হয়েছে তা জানতে চাইলে একেক সময় একেক কথা বলে। একপর্যায়ে মামুনকে পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যায় লিজা। কিন্তু এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করায় ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে আমি সেখানে গিয়ে মামুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখি।

একপর্যায়ে সেখান থেকে মামুনের লাশ চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এজহারে বলা হয়, মামুনকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অণ্ডকোষ চেপে ধরে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করা হয়েছে। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের মজুমদার আজাদীকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামুনের স্ত্রী লিজাকে আটক করা হয়েছে। তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল (আজ) আদালতে পাঠানো হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মার্কেটে ক্রেতার ঢল
পরবর্তী নিবন্ধঈদের খুশি সবখানে