শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মার্কেটে ক্রেতার ঢল

বিভিন্ন শো-রুমে ছাড়মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পোশাক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৩ at ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

আজ চাঁদ দেখা গেলে শনিবার ঈদ। সেই হিসেবে ঈদের বাকি আছে মাত্র একদিন। মার্কেটগুলোতে তাই এখন ক্রেতারা সেরে নিচ্ছেন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। প্রকৃতিতে চলছে তাপদাহ। এই তাপদাহের মধ্যেও সাধ ও সাধ্যের পোশাকটি কিনতে বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে ভীড় করছেন ক্রেতারা।

সময় নেই, তাই অনেক বিক্রেতা জামা কাপড়ে ৫০৬০ ছাড় দিচ্ছেন। বিশেষ করে প্রায় সব নামীদামী ব্র্যান্ডের শো রুমে ৫০শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে পাঞ্জাবি। ছাড়মূল্যে পাঞ্জাবি কেনায় আগ্রহী তরুণরা ভীড় করছেন। এছাড়া বিউটি পার্লার, সেলুন, আতর টুপির দোকান ও জুয়েলারি শপগুলোতেও বেড়েছে ভীড়।

গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর নিউমার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরী বাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি আর্কেড, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওশ্যান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে।

বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিউমার্কেটে ব্লু মুন শো রুমে ৫০ শতাংশ ছাড়ে পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে শুনে মার্কেটে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলভী আহমেদ। তিনি বলেন, পাঞ্জাবি ছাড়া আসলে ঈদের আনন্দ পূর্ণ হয় না। কিছুদিন আগে একবার এসেছিলাম পাঞ্জাবি কিনতে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে ফিরে গেছি। এখন অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনতে এলাম।

টেরী বাজারে কথা হয় গৃহিনী জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে। তিনি জানান, ঈদের প্রায় সব কেনাকাটা শেষ। কিছু নিকটাত্মীয়ের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। ঈদের মাত্র ১২ দিন বাকি। কিন্তু এখনো বিক্রেতারা দাম ধরে রেখেছেন।

জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন বলেন, এবারের ঈদ বাজারে আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। কম দামে ভালো মানের পণ্য কেনার জন্য সব সময়ই ক্রেতারা জহুর হকার্স মার্কেটে ভীড় করেন। কারণ এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য পাওয়া যায়।

তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির অধীনে ১১০টি মার্কেটে আছে। এখানে সব ধরণের পণ্য রয়েছে। আমাদের সবগুলো মার্কেটে জমজমাট বেচাবিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ক্রেতা আকর্ষণে ভারত, চীন ও থাইল্যান্ডের মতো দেশ থেকে ভালো ভালো পণ্য আমদানি করেছেন। তামাকুমণ্ডি লেইনে ক্রেতারা আসেন ভালো মানের পণ্য কিনতে। ঈদের বেচাবিক্রি নিয়ে আমরা সন্তুুষ্ট।

টেরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোছাইন বলেন, আমাদের টেরী বাজার পোশাকের জন্য অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করে বলেই ক্রেতারা আমাদের মার্কেটে ছুটে আসেন। অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন, পণ্যের দাম বেশি। আসলে এখন সবকিছুর দাম বেড়েছে। পোশাকের আমদানি খরচ বেড়েছে। এছাড়া পোশাক তৈরির খরচ বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবে তাই দাম বেশি। ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ব্যবসায়ী দাম বাড়ায় না। কারণ এখন প্রতিযোগিতামূলক বাজার। মানুষ যে মার্কেটে কম দাম পাবেন, সেই মার্কেট থেকে পণ্য কিনবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদারিদ্র্য, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত দেশ গড়ার শপথ নিন
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু শরীরে আঘাতের চিহ্ন