করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েব বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে পুরো বিশ্ব। পৃথিবী জুড়ে ফের বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। আমাদের দেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে ইতোমধ্যেই দেশের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে আবারো দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞদের পরিসংখ্যানে পরিলক্ষিত হয়, ২০২০ সালের পুরোটাই করোনার কবলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেকটা স্থবিরতা বিরাজ করছে বলে ধারনা করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
তাই হয়তো সরকার বিকল্প পদ্ধতি অন-লাইন ক্লাস, জুম, অ্যাপস এর মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে যোগাযোগের কিছু মাধ্যম আবিষ্কার করেছেন যা প্রশংসার দাবিদার বলে মনে করেন সর্বমহল তথা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির জন্য সরকার অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা ও জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সাথে সমন্বয় সাধনের ব্যবস্থা করলেও করোনা কালে শিক্ষকদের চেয়ে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের উপর বেশি দায়িত্বশীল ও সচেতন থাকতে হবে। কেননা তারা সচেতন না থাকলে তাদের সন্তানরা বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যাবে।
স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নিজেদের নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে যেমন আমরা করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি, ঠিক তেমনি আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার বিষয় চিন্তা করে তাদের উপর আরো অনেক যত্নশীল ও সচেতন হতে হবে। কেননা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন খোলা ছিল শিক্ষার্থীরা তখন শিক্ষকদের সান্নিধ্যে থাকতো বা তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলতে হতো, কিন্তু এখন যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তখন তাদের উপর পড়ালেখার কোন চাপ বা সীমাবদ্ধতা নেই বললেই চলে তাই করোনা কালে মা, বাবাকেই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষক ও অভিভাবকের ভূমিকা পালন করা উচিত। আপনার সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনকে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করুন, নিজে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।