বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চট্টগ্রাম আয়োজিত যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক জেলা মতবিনিময় সভায় সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারী লি: পি.এল.সি চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম নাটাবের নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম শামীম বলেন, যক্ষ্মা নিকট অতীতে নিরাময় অযোগ্য একটি ভয়াবহ রোগ হিসেবে আতঙ্ককের একটি বড় কারন ছিল। এক সময় প্রবাদ ছিল যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, তবে এখন সেই আতঙ্ক আর নেই। অন্যান্য সাধারণ রোগের মত উপযুক্ত চিকিৎসায় যক্ষ্মার্ল নিরাময় নিশ্চিত। কেননা সরকারী আন্তরিক উদ্যোগ ও দৃঢ় পদক্ষেপ এবং নাটাবের মত অভিজ্ঞতালব্ধ জাতীয় সেবা প্রতিষ্ঠানটি দাঁিড়য়ে যাওয়ায় যক্ষ্মা একেবারে নির্মূল না হলেও ৯৪ শতাংশ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিরাবাদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলানায়তনে কেন্দ্রীয় নাটাবের নির্দেশনায় জেলা সভাপতি মোরশেদুল আলম কাদেরীর সভাপতিত্বে ও নাটাবের সিএমও ডা. পঞ্জানন চক্রবর্তীর সঞ্জালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন রোগ তত্ব নিরাময় কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নুরুল হায়দার। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটাব চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক। মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন নাসিরাবাদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর কবিরসহ ত্রিশজন শিক্ষক। শিক্ষকদের পক্ষ হতে যক্ষ্মারোগের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডা. নুরুল হায়দার। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।