এয়ার এরাবিয়ার ভুলের কারণে সব আয়োজন সাঙ্গ করেও শারজাহ যেতে পারলেন না মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী সাত ব্যক্তি। গতকাল ইমিগ্রেশন করার আগ দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। পরের ফ্লাইটে তাদের পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তবে এজন্য ওই সাত যাত্রীকে নতুন করে কোভিড সনদসহ আনুষাঙ্গিক ঝামেলা পোহাতে হবে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে চড়ে চট্টগ্রাম থেকে শারজাহ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন তারা। কোভিড সনদ যোগাড় করা থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়া পর্যন্ত সবই করেছিলেন তারা। বিমানবন্দরে কোভিড সনদ দেখিয়ে তাদের চেক ইন করা হয়। লাগেজ বুকিং দেয়া হয়। কিন্তু ইমিগ্রেশন ডেঙে যাওয়ার পর তাদের জানানো হয় যে, একটু ভুল হয়ে গেছে। এই ফ্লাইটে তারা যেতে পারবেন না। পরের ফ্লাইটে যেতে হবে। পরের ফ্লাইট রয়েছে আগামী ৯ অক্টোবর। গতকাল যাত্রার জন্য নেয়া কোভিড সনদের মেয়াদ ৯ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে না। তাদেরকে আবারো নতুন করে কোভিড সনদ নিতে হবে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রচলিত নিয়মানুযায়ী এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে গতকাল সর্বোচ্চ ১৪০ জন যাত্রী পরিবহন করার কথা। কিন্তু এয়ার এরাবিয়া ভুলে ১৪৭ জন যাত্রীর বোর্ডিং পাস ইস্যু করে ফেলে। ভুলটি ধরা পড়ার পর তারা ৭ জন যাত্রীকে পরের ফ্লাইটে পাঠানোর জন্য যাত্রা বাতিল করায়।
গতকালের ফ্লাইটের যাত্রী হিসেবে বোর্ডিং নিয়েও যেতে না পারা হাটহাজারীর আবদুল মান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক কষ্ট করে কোভিড সনদ নিয়েছিলাম। এখন আবারো কষ্ট করে নতুন কোভিড সনদ নিতে হবে। সন্ধ্যা ৭টায় ফ্লাইট ছিল। কিন্তু আমাদের যেতে দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে পরের ফ্লাইটে যেতে। আগামী ৯, ১২, ১৪, ১৬ অক্টোবর পরের ফ্লাইট রয়েছে। এই ফ্লাইটগুলোর যে কোন একটিতে আমরা যেতে পারবো।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বলেন, কোভিড-১৯ নীতিমালা অনুযায়ী এয়ার এরাবিয়ার ওই ফ্লাইটে যেতে পারবেন ১৪০ জন যাত্রী। কিন্তু তারা ভুলে ১৪৭ জনের বোর্ডিং পাস ইস্যু করেছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরই ৭ জনকে পরের ফ্লাইটে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এয়ার এরাবিয়ার কর্মকর্তাদের ভুলে এমনটি হয়েছে বলেও তিনি জানান।