লোহাগাড়ার বিভিন্ন সড়কে যত্রতত্র দেয়া হচ্ছে গতিরোধক। এতে প্রায় সময় ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। সাধারণত সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে গতিরোধক দেয়া হয়। কিন্তু কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র গতিরোধক তৈরি করায় যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, যত্রতত্র গতিরোধক স্থাপন করায় উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশী হচ্ছে। গতিরোধকের আগে-পরে নেই কোন সতর্কীকরণ চিহ্ন। কিছু কিছু গতিরোধক এতো উঁচু যার কারণে গাড়ি চালানোর সময় জোরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মাঝে প্রায় সময় বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিত গতিরোধক নির্মাণের ফলে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা চালকরা প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। প্রতিনিয়ত গড়ছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর দরবেশহাট-কেয়াজুপাড়া ডিসি সড়কের গৌড়স্থান নতুন বাজার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণাধীন গতিরোধকে ব্যাটারি চালিত রিকশা উল্টো গিয়ে মো. জাকারিয়া আলম (৩২) নামে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সমপ্রতি একই সড়কের টেন্ডলের মসজিদ এলাকায় গতিরোধকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। উক্ত সড়কের লোহাগাড়া সীমানায় ছোট-বড় প্রায় ১৫টি গতিরোধক রয়েছে। কোন কোন জায়গায় এক সঙ্গে ২টি করে গতিরোধক করা হয়েছে।
নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া শাখার আহবায়ক মোজাহিদ হোসাইন সাগর জানান, সড়ক মেরামত করার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজ নিজ বাড়ির সামনে গতিরোধক দিকে বাধ্য করে। যা খুবই দুঃখজনক। জীবন বাঁচাতে গতিরোধক তৈরি করা হয়। কিন্তু এই গতিরোধকই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) দিবাকর রায় জানান, সড়ক অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র গতিরোধক বসানোর কোন নিয়ম নেই। তবে স্থানীয়রা প্রভাব কাটিয়ে স্ব উদ্যোগে সড়কে গতিরোধক নির্মাণ করেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে অনেক সময় বাকবিতণ্ডাও হয়ে থাকে। সড়ক থেকে অপরিকল্পিত গতিরোধক অপসারণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।