রাঙ্গুনিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি আজিজুল হক শামীম ওরফে অ্যালেন শামীম এবার সদলবলে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। এসময় আবু বক্কর সিদ্দিক দিদার (৩৬) ও মো. দিদার (৩৮) নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। মঙ্গলবার তার আস্তানায় র্যাবের অভিযান চালানোর পেছনে তাদের হাত রয়েছে সন্দেহ থেকেই এ মারধর। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘাটচেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার তার আস্তানায় র্যাব হানা দিলে তিন সহযোগী গ্রেপ্তার হলেও শামীম পালিয়ে যায়। পরে রাতের আঁধারে স্থানীয় বেশ কিছু মানুষের খড়ের গাদা পুড়িয়ে দেয় সে। আলোচিত অ্যালেন শামীম পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকার মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে।
আহত দিদারের ছোট ভাই মো. ছরওয়ার জানান, গত মঙ্গলবার শামীমের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব। এরপর বুধবার সশস্ত্র গ্রুপ নিয়ে প্রকাশ্যে ঘাটচেক চৌরাস্তার উপর তার বড় ভাই মো. আবু বক্কর সিদ্দিক দিদারের উপর হামলা চালিয়েছে শামীম। একই কায়দায় দিদার নামে অপর এক ব্যক্তিকেও মেরে রক্তাক্ত করা হয়। তবে প্রাণে মারার আগে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা আতংক ছড়িয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত দু’জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে আহত মো. দিদার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার প্রয়াত বশীর আহমদের সন্তান।
হামলার কারণ জানতে চাইলে আবু বক্কর সিদ্দিক দিদার বলেন, শামীম বছর দেড়েক আগে আমার ছোট ভাইকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। সেসময় আমার ভাই প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সে ঘটনায় শামীমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় আমি বাদী ছিলাম। গত মঙ্গলবার তার আস্তানায় র্যাব অভিযান চালানোর পর সে মনে করেছে আমিই তার বিরুদ্ধে র্যাবকে তথ্য দিয়েছি। এসব কারণে সে প্রকাশ্যে আমার উপর হামলা চালিয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মো. মোকাররম (২৮) নামে শামীমের আরও এক সহযোগীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। সে পারুয়া কোকানীয়া এলাকার মো. হারুনের ছেলে। দুইজনকে অ্যালেন শামীমের মারধরের ব্যাপারে ওসি জানান, ভুক্তভোগীরা এজাহার দিলে আমরা মামলা নিব। অভিযুক্ত শামীম ও তার দলবলকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।