অর্ধশতাব্দী পর বাংলাদেশে রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধ জাহাজের সফরকে ‘নিয়মিত ঘটনা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। গতকাল বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রুশ জাহাজের সফরের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এই ধরনের শুভেচ্ছা সফর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি নিয়মিত ঘটনা। রোববার এক প্রতিবেদনে রুশ নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধ জাহাজের চট্টগ্রাম সফরে আসার খবর দেয় রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস। ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যান্টিটস্কিকে উদ্ধৃত করে ওই খবরে বলা হয়, সর্বশেষ পঞ্চাশ বছর আগে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশে নোঙর করেছিল, চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণের জন্য। ওই সময়ে রাশিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাগুলো এসেছিল মানবিক বিপর্যয় থেকে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া নবীন দেশকে রক্ষার জন্য। স্বাধীনতার পর বন্দরের পানিতে অনেক মাইন ছিল এবং অনেক জাহাজ সেখানে ডোবানো ছিল। খবর বিডিনিউজের।
যুদ্ধ জাহাজের সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, রাশিয়ার প্যাসিফিক নৌবহরের তিনটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রামে শুভেচ্ছা সফরে এসে ১২–১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দরে অবস্থান করেছে। এর মধ্যে ছিল বড় অ্যান্টি–সাবমেরিন জাহাজ অ্যাডমিরাল ত্রিবুৎস ও অ্যাডমিরাল পানটেলিভ এবং একটি মাঝারি সি ট্যাংকার।
এই সময় জাহাজ তিনটির সাথে আগত রুশ প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বন্দরে নৌবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করে। জাহাজ তিনটি ইতোমধ্যে শুভেচ্ছা সফর শেষ করে পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশে শুভেচ্ছা সফরে আসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ বছরই কিন্তু বিভিন্ন দেশের, যেমন– জাপান, যুক্তরাজ্য, ভারত, ইতালি, ফ্রান্স থেকে যুদ্ধজাহাজ শুভেচ্ছা সফরে এসেছে এবং শুভেচ্ছা সফর শেষ করে পরবর্তী গন্তব্যের জন্য তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে। রুশ নৌবাহিনীর এই জাহাজগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধজ্ঞার আওতায় নেই বলেও জানান সেহেলী সাবরীন।