সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে বিশ্বব্যাপি অরাজনৈতিক তরিক্বতভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখা সমূহের উদ্যোগে এশায়াত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসুল (দ.), হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সালানা ওরছ মোবারক এবং ফাতেমায়ে ছানি, জামানার রাবেয়া বসরী রূহানি আম্মাজান ছাহেবার ফাতেহা শরীফ উপলক্ষে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার স্থানীয় দুবাই আল মারাবিয়া স্ট্রিট, ডাসকু ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন দুবাই কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব হারুন এম. আজাদ।
মাওলানা মুহাম্মদ হাসানের কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এশায়াত মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আল আইন শাখার সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল আলম, কমিটির সংযুক্ত আরব আমিরাত এশায়াত উপ–পরিষদের আহবায়ক মাওলানা মুহাম্মদ জাফর ও সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। বক্তারা বলেন, মানুষকে হেদায়ত দানের জন্য আল্লাহ পাক প্রিয় রাসুল (দ.) কে মানব রূপে মানব জাতির কাছে পাঠিয়ে অত্যন্ত দয়া ও অনুগ্রহ করেছেন। তিনি কোরআনের নূর তথা ফয়েজে কোরআন দিয়ে উম্মতদের অন্তরকে পরিশুদ্ধি করতেন। উনার উত্তরসূরি হিসাবে দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কোরআনের নূর তথা ফয়েজে কোরআনের মাধ্যমে মানুষের অন্তরকরণকে পবিত্র করে ছৈয়্যদুল মুরসালিন নবী করিম (দ.) এর মুহাব্বত সৃষ্টি করে দেন। প্রতি বছর ধর্মীয় এই বৃহৎ জমায়েতের মাধ্যমে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত আমিরাতের কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা। আমিরাতে অনুষ্ঠিত এ মাহফিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সালতানাত অব ওমান শাখা সমূহের তরিক্বতপন্থীরা লাইভে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মাহফিল শেষে দেশ, জাতি, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও উপস্থিত সকলের ইহকালীন কল্যাণ, পরকালীন মুক্তি এবং কাগতিয়ার গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












