দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে গত সোমবার রাতেও কার্প জাতীয় মা মাছ পুনরায় ডিম ছেড়েছে। তবে রাতে ঘুমে থাকায় অনেক আহরণকারী ডিম সংগ্রহ করতে পারেনি। এর আগের দুই দিন কঠোর পরিশ্রমের কারণে অনেকটা দুর্বল ছিল ডিম আহরণকারীরা। ফলে সোমবার রাতে দুর্বল হয়ে ঘুমাতে যাওয়ায় অনেকে উঠতে পারেনি। তাই বেশির ভাগ আহরণকারী ডিম সংগ্রহ করতে পারেনি। মাত্র অল্পসংখ্যক লোকজন ডিম সংগ্রহ করছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণিমার জো শুরু হয়। এই জোতে মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়বে এই প্রত্যাশা ছিল ডিম আহরণকারীদের। গত শুক্রবারও আংশিক ডিম ছাড়ে। পরবর্তীতে শনিবার দিবাগত রাতে আবারো নমুনা ডিম ছাড়ে। জো চলমান থাকলেও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত না থাকায় গত সোমবার রাতেও নদীতে আশানুরূপ ডিম পাওয়া যায়নি।
মাছুয়াঘোনার ডিম সংগ্রহকারী মোহাম্মদ শফিউল আলম অল্প পরিমান ডিম পেয়েছে বলে জানান। গড়দুয়ারার ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর জানান, সোমবার দিবাগত রাতে মাছ নদীতে ডিম ছেড়েছিল। মাছ আর ডিম ছাড়বে না মনে করে ডিম আহরণকারীরা নদী থেকে উঠে গিয়েছিল। তবে যারা নদীর কাছাকাছি ছিল তারা কিছু ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছে। মদুনাঘাট এলাকার ডিম আহরনকারী আশু বড়ুয়াও রাতে ডিম ছেড়েছে বলে নিশ্চিত করেন। তবে তিনি রাতে ঘুমে থাকার কারণে ডিম সংগ্রহ করতে পারেনি। ভোর রাতে নদীতে নামলেও ডিম পায়নি।
হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, রাতে ঘুমে থাকায় ডিম আহরণ করতে পারেনি অনেক সংগ্রহকারী। হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, আজ বুধবারও জো রয়েছে। তাছাড়া এই মাসের শেষে আরও একটি জো রয়েছে। আবার জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেও জো আছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সেই সময়ও ডিম ছাড়তে পারে।