রাজনৈতিক বিভাজন বাড়লে পরিণতি হবে ভয়াবহ

ঐক্য পার্টির আলোচনায় বক্তারা

| সোমবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দেশের মানুষ ইতিবাচক ধারার রাজনীতি প্রত্যাশা করেছিল। তবে সময়ের পরিক্রমায় ধীরে ধীরে রাজনৈতিক বিভাজন জোরালো হচ্ছে। এতে করে দেশ সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ বাঁচাতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা না গেলে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে গোটা জাতিকে। গত ১১ জানুয়ারি রাজধানীর পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে সংঘাতমুখী রাজনৈতিক মতপার্থক্য এড়িয়ে জাতীয় ঐক্য গড়তে করণীয়শীর্ষক সভায় বক্তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ হাসানের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) আবু ইউসুফ যোবায়ের উল্লাহ। সভায় বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে নেয়া নানা উদ্যোগের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলোও বক্তব্যে উঠে আসে। আগামী দিনে দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে মতবিনিময় সভায়। দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী বলেন, বিভাজনের রাজনীতির সুযোগে শেখ হাসিনার পতনে খুশি হওয়া মানুষের সংখ্যা কমছে। সভায় শহীদ আসাদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. নুরুজ্জামান, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি কর্ণেল মিয়া মশিউজ্জামান, গণফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী শেখ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এসজি কিবরিয়া দিপু, কর্ণেল জাকারিয়া হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, ডা. ওয়ালিউর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান, আলহামরা নাসরীন হোসেন লুইজা, শরীফুল হক জুয়েল, মেজর রেজাউল হান্নান শাহীন, আবু রায়হান মো.মাহবুবুল ইসলাম, হানিফ বাংলাদেশী, থোয়াই চিং মং শাক, মাওলানা ওবায়দুল হক, হারুনুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপর্ণাচরণ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধচুয়েটে শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা