দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী, সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শুধু তাই নয় ড. কামাল হোসেন এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে দলের বিদ্রোহ গ্রুপের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। গণফোরামের একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, দলের বিদ্রোহ গ্রুপের নেতারা ড. কামাল হোসেনকে সরাসরি বলেছেন দল থেকে ড. রেজা কিবরিয়া, শফিক উল্লাহ, সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও মোস্তাক আহমেদকে বহিষ্কার করে গণফোরামে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। তা হলে দলের সব নেতাকর্মী এক হয়ে আগের মত করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ড. কামাল হোসেন এসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। এ সর্ম্পকে তিনি নানা সময়ে নানা ধরনের মন্তব্য করলেও বর্তমানে চুপ রয়েছেন। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে ড. কামাল হোসেন এসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আগামী সপ্তাহে তাকে বহিষ্কার করার জন্য শোকজ করবে গণফোরামের মন্টু গ্রুপ।
গণফোরাম থেকে বহিষ্কার হবেন এমন আভাস পেয়েও ড. কামাল হোসেন চুপ রয়েছেন। তিনি দেশের রাজনীতি নিয়ে দলের ভেতরে এবং বাইরে কোনো কথায় বলছেন না। এমনকি তার গ্রুপের শীর্ষ নেতারাও চুপচাপ। তারা ড. কামাল হোসেনের রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিষয়ে হতাশ।
এসব বিষয় নিয়ে জানাতে ড. কামাল হোসেনের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
গণফোরামের (ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন) সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এই অবসরে যাওয়ার তথ্যটি আমি নিশ্চিত করতে পারবো না। তথ্যটি ড. কামাল হোসেনই বলতে পারবেন। তবে ড. কামাল হোসেন রাজনীতি থেকে অবসরে যাবেন এ কথা আগেও বলেছেন। সম্প্রতিও হয়তো বা বলেছেন।
দলের বিদ্রোহ গ্রুপের নেতা অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী জানান, ড. কামাল হোসেন রাজনীতি থেকে অবসরে যেতে চাচ্ছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। তবে আমরা চাচ্ছি ড. কামাল হোসেন তার সম্মান নিয়ে রাজনীতিতে থাকুক এবং তাকে ঘিরে যে অশুভ শক্তিটি রয়েছে তাদেরকে দল থেকে সরানো হোক। আর যদি তিনি তা না করেন তা হলে আগামী সপ্তাহে আমরা তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করার জন্য শোকজ করবো। এছাড়া আগামী ২৬ ডিসেম্বর গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে নেতাকর্মীদের সর্বসম্মতি নিয়ে গণফোরাম থেকে ড. কামাল হোসেনকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।