খেলাধুলা মাঠে নামাতে চায় সিজেকেএস

তবে নজর করোনার দ্বিতীয় ধাপের দিকেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

করোনাকালে দেশে প্রথম ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। বেশ ঝুঁকি থাকলেও টুর্নামেন্টটা বেশ সফলতার সাথেই সম্পন্ন হয়েছে। ফুটবলের পর চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার লক্ষ্য ছিল মুজিববর্ষ ক্রিকেট মাঠে নামানোর। সে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দুই পরিচালক যারা বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কও। আকরাম খান এবং খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে সভাও করেছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল কর্পোরেট হাউজ গুলোকে এই টুর্নামেন্টে সংযুক্ত করার জন্য।
জেলা ক্রীড়া সংস্থাও সে লক্ষ্যেই এগুতে চাচ্ছে। কিন্তু করোনার পরবর্তী ধাপটা কোন দিকে যাচ্ছে বা কতটা প্রভাব ফেলবে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তাছাড়া মুজিববর্ষ ক্রিকেটটা মান সম্পন্ন করতে চায় সিজেকেএস। ফুটবলটা যে মানের করেছে ক্রিকেটটাও সে মানের করতে চায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আর সে জন্য এই টুর্নামেন্টের বিষয়ে বিসিবি সভাপতিকেও অবহিত করা হয়েছে দুই পরিচালক আকরাম খান এবং খালেদ মাহমুদ সুজনের মাধ্যমে। এই টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও খেলাতে চায় সিজেকেএস। যদিও সেটা কতটা সম্ভব তা নিশ্চিত নয় আয়োজকরা। কারণ আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ হতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তাই সব মিলিয়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে একটু ভেবে চিন্তে নিতে হচ্ছে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। আর তেমনটাই জানালেন সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী।
এই কর্মকর্তা বলেন ক্রিকেটে বাজেটের আকারটাও বড় হবে। তাই স্পন্সর কিংবা কর্পোরেট হাউজ গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তারা। আর সেটা হলে টুর্নামেন্টটা যেমন জমজমাট হবে তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বাড়বে। ক্রিকেট ছাড়াও করোনার এই সময়ে আরো কিছু ইভেন্ট মাঠে নামানোর চেষ্টা রয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার। যাদের মধ্যে দাবা, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল উল্লেখযোগ্য। যেহেতু এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামটা এখনো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাই সহসা সেখানে কোন ইভেন্ট আয়োজন করতে পারছেনা সিজেকেএস। না হয় জুড়ো, কারাতে কিংবা আরো কিছু ইনডোর ইভেন্ট আয়োজন করা যেতো। তবে ব্যাডমিন্টনটা রাইফেল ক্লাবে আয়োজন করার চিন্তা করছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মশিউর রহমান চৌধুরী জানান, দাবাও শুরু করতে চায় তারা শীঘ্রই। আর সেটা করতে চান জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজেদের ভবনের মিলনায়তনে।
বেশ আগেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১২টি শর্ত সাপেক্ষে খেলাধুলা শুরুর অনুমতি দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেই প্রথম মাঠে গড়ায় কোন খেলাধুলা। যদিও এরপর ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজন করে তিন দলের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। যা শেষ হয়েছে গত রোববার। এখন আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিসিবি আয়োজন করতে যাচ্ছে ৫ দলের আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
মশিউর রহমান চৌধুরী জানান, তারাও বসে থাকতে চায়না। তাদেরও লক্ষ্য খেলাধুলা মাঠে নামানো। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে করোনার দ্বিতীয় ধাপ কেমন হয় সেটা। তবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খেলানো যায় যেসব ইভেন্ট রয়েছে সেগুলোকে যতদ্রুত সম্ভব মাঠে নামাতে চায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সবকিছু নির্ভর করছে করোনার পরবর্তী ধাপ কোনদিকে যাচ্ছে তার উপর।
এদিকে এ বছরের মার্চে বন্ধ হয়ে যাওয়া ফুটবল লিগ কবে নাগাদ মাঠে গড়াবে তা অবশ্য নির্ধারণ করতে পারেনি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন। কারণ ক্লাব গুলো এ সময়ে খেলতে আগ্রহী না। আর কবে নাগাদ সে ফুটবল লিগ মাঠে গড়াবে তাও জানা যায়নি। এ বছর যে আর ফুটবল কিংবা ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াচ্ছেনা এটা একেবারেই নিশ্চিত। তার চাইতে বড় কথা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ধাপ কতটা প্রভাব ফেলে তার উপরও অনেকখানি নির্ভর করছে চট্টগ্রামের খেলাধুলা মাঠে গড়াবে কিনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
পরবর্তী নিবন্ধরাজনীতি থেকে অবসরে যাচ্ছেন ড. কামাল