বিশ্বায়নের এই যুগে শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব নাগরিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তা। সেকথা মাথায় রেখে, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) মেরাকির ১২তম আয়োজন বিশ্বের বিভিন্ন যুগের ২৩ রাজা ও তাদের রাজত্বের ইতিহাস-ঐতিহ্যের আদলে সাজানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ২৩টি দল পৃথক রাজ্যের সাজ-পোশাক ও খাবার-তৈজষের পশরা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে এতে। ১৭ ডিসেম্বর শনিবার সকাল দশটায় ইডিইউর খুলশীস্থ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান শুরু হয়, যা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। বিকেলে নাচ-গানসহ হরেক রকমের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিবেশন করে তারা। শিক্ষার্থীদের বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি, ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতাকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে এবারের মেরাকির আয়োজন করেছে অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমি।
‘মেরাকি’ শব্দটি গ্রিক, যার অর্থ ভালোবেসে কাজ করা। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো এবং এসব কাজের প্রতি তাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করা এর অন্যতম লক্ষ্য। ‘কিংডম রিভিজিটেড’ থিম নিয়ে সাজানো হয়েছে অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির এবারের কোর্সওয়ার্ক মেরাকি-১২ এই কোর্সওয়ার্কে অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যে ২৩ রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে সেগুলো হলো-সম্রাট গাওজু, কনস্ট্যান্টাইন দ্য গ্রেট, রাজা বিজয়ালয় চোল, ফেরাউন দ্বিতীয় আমেনহোটেপ, সম্রাট আকবর, সম্রাট উ হান, ফেরাউন থুতমোস, রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডরিক, সম্রাট বাবর, রানী এলিজাবেথ, তুতেনখামেন, তৃতীয় আমেনহোটেপ, সম্রাট আওরঙ্গজেব, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, রানী ক্লিওপেট্রা, সম্রাট হং উ, সাইরাস দ্য গ্রেট, সম্রাট শাহজাহান, সুলতান প্রথম সুলেমান, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, সম্রাট শাহজাহান, রানী ভিক্টোরিয়া এবং সম্রাট অশোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীই পৃথক ও বৈচিত্রময়। ফলে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিক উন্নতি ও মেধা যাচাইয়ে প্রচলিত পরীক্ষা ব্যবস্থা সবসময় কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে অ্যাঙেস অ্যাকাডেমির মেরাকি ও অন্যান্য কোর্সওয়ার্কগুলো একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলগত কাজ করার প্রবণতা, নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি তাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক তারতম্য এবং ঘাটতিগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সব শিক্ষার্থীকে সমমানের করে তুলতে কাজ করছে অ্যাঙেস অ্যাকাডেমি। এতে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়াসহ স্কুলসমূহের ডিন, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির ইনস্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
মোট চারটি ক্যাটাগরিতে বেস্ট কিংডম রিপ্রেজেন্টেশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে সম্রাট শাহজাহান, বেস্ট কস্টিউমে রাণী ক্লিওপেট্রা, বেস্ট প্রেজেন্টেশনে সম্রাট গাওজু, এবং বেস্ট পারফর্মেন্স ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ফারাও দ্বিতীয় আমেনহোটেপ। বিজ্ঞপ্তি