তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ, অতিষ্ঠ মানুষ। রাউজানে বিভিন্ন পয়েন্টে সুপেয় পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পানি ও শরবত বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) স্বস্তির বৃষ্টি প্রার্থনায় বিভিন্নস্থানে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা হয়েছে। জুমার নামাজে বিশেষ দোয়া কামনা করা হয়।
বৃষ্টি প্রার্থনার এই নামাজকে বলা হয় ইসতেস্কার নামাজ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার পশ্চিম ডাবুয়া আমির চৌধুরী (রহঃ) জামে মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে বৃষ্টি প্রার্থনা করে জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
নামাজের ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন মাইজভান্ডারী।
পরে অনাবৃষ্টি, গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনায় সকল মুসল্লিকে নিয়ে মোনাজাত করেন তিনি।এসময় মিলাদ কিয়াম পরিবেশন করেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা নুরুল আবছার।
উপস্থিত থেকে মসজিদের মোতাওয়াল্লি আলহাজ্জ আবুল বশর চৌধুরীসহ কয়েকশ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন এবং বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে প্রার্থনা করেন।
এর আগে জুমার নামাজের খুতবার বয়ানে খতিব মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন মাইজভান্ডারী বলেন, হজরত মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) আনহা বলেন, রাসুল(স.) বৃষ্টি নামতে দেখলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়া’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, উপকারী বৃষ্টি আমাদের ওপর বর্ষণ করুন।
তিনি আরও বলেন আবু দাউদ শরিফের বর্ণনায় রয়েছে, রাসুল(স.) বলেছেন বৃষ্টির সময় করা দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে পারি যে, হে আল্লাহ তোমার রহমতের বৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের গোটা দেশকে প্রশান্তিময় করে তোলো।