কাতার বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ইংল্যান্ড। সেই তুলনায় খুব সাধারণ দল যুক্তরাষ্ট্র। আল বায়েত স্টেডিয়ামে আজ তারা মুখোমুখি হবে। যে ফর্মে খেলছে হ্যারি কেনের দল, তাতে ফলাফল তাদের পক্ষে যাবে বলে ধরে নেওয়া যায়। চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
সেই ম্যাচে এমনই দাপট ছিল যে, প্রতিপক্ষের তেমন কিছু করার ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও পরিসংখ্যান ইংলিশদের পক্ষে। ১৯৫০ সালের পর মার্কিনিদের কাছে ফুটবল ম্যাচ হারেনি তারা। ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ইউএসএ। এখন পর্যন্ত ওটাই তাদের সেরা। ২০১৮ সালে প্রীতি ম্যাচে দেখা হয়েছিল দুই দলের। ইংল্যান্ড সেই ম্যাচ জিতেছিল ৩-০ তে। আজও তেমন একটা ফল হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ১-১ গোলে ওয়েলসের সঙ্গে ড্র করে। আজ ইংল্যান্ডের জন্য উদ্বেগের খবর হলো, অধিনায়ক হ্যারি কেনের গোড়ালির ইনজুরি। ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলার সময় ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। ফুলে যাওয়ায় স্ক্যান করাতে হয়। তাতেই আজ তাকে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার অনুশীলন করেননি। ইরান ম্যাচের ৪৮ মিনিটে তাকে ট্যাকল করেন মোর্তেজা। তখন চোট পেলেও মাঠেই ছিলেন তিনি। ৭৫ মিনিটে তাকে তুলে নেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।
যা হোক, অধিনায়কের ইনজুরির অবস্থা কেমন, তা নিয়ে গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে হ্যারি কেন ভালোই আছে। সামান্য ব্যথা রয়েছে। তা ছাড়া কোনো সমস্যা নেই। বুধবার অনুশীলন করেছে। ও আমাদের অধিনায়ক। আমরা ওর সঙ্গেই মাঠে নামার কথা ভাবছি।’
২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনবার ডান পায়ের গোড়ালির লিগামেন্টে এবং দুবার বাঁ পায়ের লিগামেন্টে চোট পেয়েছিলেন কেন। তবে বর্তমান ইংল্যান্ড দলে প্রতিভার যা প্রাচুর্য, তাতে মার্কিন বাধা টপকাতে বেগ পাওয়ার কথা নয়। এবার নিয়ে বিশ্বকাপে ১৬তম বার খেলছে ইংল্যান্ড। শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা একবার। ৫৬ বছর আগে। ১৯৬৬ সালে ঘরের মাঠে ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড।
এরপর থেকে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে না। এবার দুরন্ত ফর্মে আছে সাউথগেটের দল। বাছাই পর্বে দারুণ খেলেছে। ১০ ম্যাচের ৮টিতে জিতেছে তারা। গোল করেছে ৩৯টি। খেয়েছে স্রেফ ৩টি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৬ গোল দিয়ে দুটি খেয়েছে। এতে করে আক্রমণভাগের ধার বোঝা যায়। সেই ধার বজায় থাকলে প্রতিপক্ষের যে কোনো রক্ষণভাগকে চিন্তায় থাকতে হবে।