অনুমোদন ছাড়াই ১৪ লাখ ঘনফুট পাহাড় কেটে সাবাড় করার অভিযোগ পেয়ে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীকে শুনানিতে ডেকেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত ১৫ অক্টোবর পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে মুজিবুল হক চৌধুরীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর সকাল ১১টায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাঁকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ওই পত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই পত্রে বলা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বলের বর্মত্তোরপাড়ার পলিঘোনা এলাকায় পাহাড় কর্তনের স্থানে এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত আনুমানিক ১৪ লাখ ঘনফুট পাহাড়/টিলা কর্তন করার সত্যতা পাওয়া গেছে, যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়। পত্রের নির্দেশনা অমান্য করা হলে পরিবেশ আইন ও পরিবেশ আদালত আইন অনুযায়ী স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/ পরিবেশ আদালতে মামলা দায়েরসহ আইনানুগন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, বাঁশখালীর চাম্বলে প্রায় এক বছর ধরে পাহাড় কাটা চলে আসছিল। খবর পেয়ে গত ১১ অক্টোবর এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে মাটি ভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক ও একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়। এনিয়ে গত ১২ অক্টোবর দৈনিক আজাদীতে ‘চাম্বলে পাহাড় কাটা বন্ধে পরিবেশের অভিযানে বাধা, জব্দ স্কেভেটর অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের জিম্মায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ওইদিনই দৈনিক আজাদীকে বলেন, পাহাড় কাটার বিষযটি সঠিক নয়।