অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী যেভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে তার পেছনে একটি ‘বিশেষ নেতৃত্ব’ দায়ী বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক তদন্ত কর্মকর্তারা। গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতা দখলের পরদিনই জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং একটি ‘বিশেষ নেতৃত্ব’ গঠন করেন।
রাজধানী নিপিধোতে হ্লায়িং এর এই নতুন কমান্ড পরিচালনায় ছিলেন তার চার শীর্ষ জেনারেল। তারা ছাড়া শহর-নগরে মোতায়েন সেনাদের অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আর কারও ছিল না। এই বিশেষ কমান্ডই শহর অঞ্চলে সেনা মোতায়েনসহ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সেনাদেরকে দমন-পীড়ন চালানো এমনকী প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ফর্টিফাই রাইটস এবং ইয়েল ল স্কুলের শেল সেন্টার যৌথভাবে এই তদন্ত পরিচালনা করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দূর থেকে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের আতঙ্কিত করতে বিশেষ কমান্ড স্নাইপার মোতায়েন করেছিল।