চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া ৩৬ জন কর্মচারী ৭/৮ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বেতন না পেয়ে এসব কর্মচারী পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কর্মচারীদের বেতন বাবদ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে তাদের বেতন-ভাতা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের বেতন না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও করোনা টিমের ফোকাল পারসন ডা. আব্দুর রব মাসুম আজাদীকে বলেন, আউটসোর্সিংয়ে কর্মচারী নিয়োগে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ না পাওয়া অপর একটি প্রতিষ্ঠান দেড়-দুই বছর আগে মামলা করে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। মামলাজনিত জটিলতায় মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত বরাদ্দ ছাড় হচ্ছে না। ফলে কর্মচারীদের বেতন বকেয়া পড়ে গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এর মাঝে কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের উদ্যোগে কর্মচারীদের বেশ ক’মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। সমপ্রতি শিক্ষা উপমন্ত্রী ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও নিজ উদ্যোগে কিছু অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। যা কর্মচারীদের বেতন বাবদ দেয়া হয়েছে। সময়ে সময়ে কিছু বেতন দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলছেন, রোজার ঈদেও তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে। মামলার কারণেই এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মামলার জটিলতা কেটে গেলে বেতন সংক্রান্ত জটিলতারও অবসান হতো বলে জানান সিভিল সার্জন।