আয়োজন করে প্রহসনের নাটক করার কিছু নেই! তবুও মানুষ অজ্ঞতাবশত কিংবা সজ্ঞানে সীমালঙ্ঘন করে চলে! এটা যে কতোটা অপরিণামদর্শী হতে পারে সেটা পরবর্তীতে সময়ের কাছে হাতেকলমে শিক্ষা লাভ করে মানুষ। এক মাঘে শীত যায়না, কারণ মাঘ মাস ফিরে আসে বারেবারে। আর সৃষ্টিকর্তা অবগত আছেন ন্যায়–অন্যায় সবকিছু। অভিশাপে প্রদেয় শাস্তিটা মঞ্জুর করার এখতিয়ার একমাত্র তাঁরই। তারপরও কারো অমঙ্গলে যদি প্রাণে দোলা লাগে আপনার, তবে মানব প্রকৃতির সংজ্ঞানুসারে আপনি মনুষ্যত্বহীন একজন অমানুষ সমগোত্রভুক্ত….! অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়ে নিজেই যেন সে গর্তে পড়তে যাবেননা! এর ফল ভালো হয়না কখনো!
আবার নিজে দোষ করে অন্যকে দোষী সাজাতে যাবেননা।
এটার ফলও মধুর হবেনা, তিক্তই হবে! স্মরণ রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আপনার একার নয়।
আরো পড়াশোনা করুন, আরো জানুন, মনীষীদের জীবনীগ্রন্থ পড়ুন। নিজেকে সমৃদ্ধ করুন সত্যজ্ঞানে। সত্য আপনা–আপনি ধরা দিবে আপনার কাছে।
তখন নিজেই লজ্জিত হবেন এবং আত্মগ্লানিতে ভুগবেন! মানুষের অজ্ঞতাই মানুষকে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট করে!
মানবজন্মকে এতোটা তুচ্ছতায় আবর্জনার ভাগাড়ে নিক্ষেপ করবেননা! আপন কর্মদোষে নিজেই সৃষ্টি ও স্রষ্টার কাছে দায়বদ্ধতাহীন কোন অর্বাচীন বলে গণ্য হতে পারেন! অতএব হে মানুষ, অন্যের দুঃখে দুঃখিত হও আর অন্যের ব্যথায় হও সমব্যথী। এই হোক মানবরূপ! আর মঙ্গল অমঙ্গল বুঝে – “ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিওনা“!