বাঁশখালীর কোকদণ্ডী গ্রামে গুরুগীতা সংঘের আয়োজনে শ্রীগুরু মন্দিরে শ্রীমন্মহর্ষি সুতেজানন্দ যতি মহারাজের ১১৩ তম আবির্ভাব দিবস ২৮ ও ২৯ মার্চ উদযাপিত হয়। ২৮ মার্চ মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মহোৎসবের উদ্বোধন করেন গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী সুসিদ্ধানন্দ সরস্বতী মহারাজ। গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী এবং গুরুগীতা সংঘের সদস্যদের অংশগ্রহণে প্রার্থনা ও সংঘ সাধনা অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ মার্চ অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল মঙ্গলারতি, প্রার্থনা, গুরুপূজা, শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, মঙ্গলময় বিশ্বশান্তিযজ্ঞ, পুষ্পাঞ্জলি, আনন্দগীতি, প্রসাদ বিতরণ, ভক্তি সংগীত, বস্ত্র বিতরণ, ধর্মসভা, যোগাসন প্রদর্শন। ধর্মসভা ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী সুসিদ্ধানন্দ সরস্বতী মহারাজ। উদ্বোধক ছিলেন কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আ ন ম শাহাদত আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বামী নির্বাণানন্দ সরস্বতী মহারাজ, মহান অতিথি ছিলেন স্বামী ছত্রেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, দিলীপ কুমার চৌধুরী, প্রফেসর ড. সুনীল ধর, ডা. নারায়ণ ধর, ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন বিভাস গুহ। ধর্মসভায় বক্তারা বলেন, মানবতার চিরন্তন কল্যাণের জন্যই মহাত্মারা এ ধরাধামে আবির্ভূত হন। তাঁদের সাধনাও মানবতার কল্যাণের জন্য। শ্রীমন্মহর্ষি সুতেজানন্দ যতি মহারাজ ছিলেন তেমনই একজন মহাত্মা। যিনি সত্য, সংযম, ত্যাগের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। পরে গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের বিদ্যার্থীরা যোগাসন প্রদর্শন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।