মাদ্রাসা ছাত্র জিহাদ নিখোঁজ হয়নি, চলে গিয়েছিল কক্সবাজার

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

| বৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠলেও হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. ছামিল আলমগীর জিহাদ (১৬) মাদ্রাসায় না গিয়ে চলে যায় কক্সবাজারে। গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসেন। চট্টগ্রাম নগরীর রাহাত্তারপুল এলাকার হাফেজিয়া ফয়জুল কুরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র জিহাদ গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠে। কিন্তু এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে তার দাদি নুর জাহান বেগম বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জিহাদ চন্দনাইশ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী মো. আলমগীরের পুত্র। ঐ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লোকমান হাকিম জানান, গত বৃহস্পতিবার জিহাদ মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে চন্দনাইশের বাড়িতে আসে। ৪ দিন পর গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য তার মা তাকে কলেজ গেইট থেকে নগরীর উদ্দেশ্যে বাসে তুলে দেন। কিন্তু এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পর চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তিনি জানান, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে কক্সবাজারের এক হোটেল ম্যানেজারের মাধ্যমে খবর পাই জিহাদ কক্সবাজারে রয়েছে। স্বজনরা রাতেই কক্সবাজার পৌঁছে তাকে নিয়ে আসে। পরে সে জানায়, মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাসে উঠলেও সে নগরীর বহাদ্দারহাট নেমে অপর একটি বাসে করে ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবারে চলে যায়। সেখান থেকে পুনরায় বহাদ্দারহাট এসে বাসযোগে কক্সবাজার চলে যায়।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হেফজ বিভাগের ছাত্র ছামিল আলমগীর জিহাদ নিখোঁজ হয়নি। সে কক্সবাজারে চলে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে আসেন এবং সকালে থানায় হাজির করেন। পরে থানায় দায়েরকৃত ডায়েরি প্রত্যাহার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিনুর সংসারের চাকা ঘুরে আনারস বিক্রির টাকায়
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা বাংলাদেশ