মহেশখালীতে ‘পারিবারিক কলহের জের ধরে’ এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার বাবার বাড়ির লোকজন। তবে নিহত গৃহবধূর শ্বশুর পক্ষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহত গৃহবধূ ময়না পাখি (২২) বড় মহেশখালী ইউনিয়নের শুকরিয়া পাড়া গ্রামের লোকমান হাকিম প্রকাশ ধলাইয়্যার স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ফকিরাকাটা গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে। নিহত ময়না ২ ছেলে সন্তানের জননী।
জানা যায়, শুকরিয়া পাড়া গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে লোকমান হাকিমের সাথে সাড়ে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় ময়না পাখির। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের বড় ছেলের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে বাড়ির সিলিং ফ্যানের সাথে ময়না পাখির নিথর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাত ৯টায় মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি, বিয়ের পর কিছুদিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের থাকলেও বেশ কিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে আগেও স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিসি বৈঠক হয়। এক সময় ওই নারীকে মারধর করে বাড়িতে আটক করে রাখার ঘটনায় পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো বলেও জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ও তার পরিবার ময়নার উপর নিপিড়ন চালিয়ে হত্যার পর বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ময়নার মরদেহ বাড়ির চালার সাথে লাগানো ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখে। পরে শিশু সন্তানদের বাড়িতে রেখে ওই বাড়ির সকলেই পালিয়ে যায়। নিহত ময়নার ভাই জানিয়েছেন, রাতে তার বোন ময়না পাখিকে পিটিয়ে ও মাথায় উপর্যপোরি আঘাত করে আহত করা হয় বলে তারা খবর পান। পরক্ষণে তারা তার বোনকে খুন করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে জানতে পারে। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ির পক্ষের উত্তেজিত জনতা ওই বাড়িতে ভাংচুর চালায়।
মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।