পৃথিবীতে মানুষের মনোজাগতিক বিষয়টি খুববেশি উদ্ভূত। অনেক সময় একজন মানুষকে চিনতে এবং ভালো করে জানতে একজীবন সময়ই চলে যায়। আপনি আন্দাজই করতে পারবেন না এখন আপনাকে ভালোর সার্টিফিকেট দেয়া মানুষ কিংবা
বন্ধুটি দু’দিন পরেই আপনার প্রতি কী ধারণা পোষণ করবে। তবে এই বিষয়টা বেশিরভাগ সময় হয় স্বার্থ কিংবা অথের্র কারণে। অনেক সময় বৈষয়িক চিন্তাধারা মানুষকে অনেক নিচে নামিয়ে ফেলে ফলে মানুষ আপন পর চিনতে পারে না। স্বার্থের লোভে তারা অন্ধ হয়ে সমাজ এবং পরিবারে সবধরনের অন্যায় করে বেড়ায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দূর অতীতে বাঙ্গালি সমাজ ব্যবস্থা এমন স্বার্থপরমুখি ছিলনা তবে এখন কেনো সেই সমাজে স্বার্থপর লোকের সংখ্যা বাড়ছে? সমাজ ব্যবস্থায় কোথায় গলদ লুকিয়ে আছে ? দেখা গেছে দূরঅতীতে একটি পরিবারে বসবাস,করতো বাবা,মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদী এধরনের অনেকগুলো লোক তারা সবাই এক অন্নে লালিত পালিত হতো বলে এধরনের পরিবারকে একান্নবর্তী পরিবারও বলা হতো এখন একান্নবর্তী তথা যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়ার পর এমন স্বার্থপর মানুষের সংখ্যা সমাজে বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌথ পরিবার ব্যবস্থায় অনেক সময় বয়োজ্যেষ্ঠরা পরিবারের শৃঙ্খলা রক্ষা, পরিবারের কে কী কাজ করবে এমনকী পরিবারের সম্পদাদি কে কে দেখবে তা তারাই ঠিক করে দিতেন ফলে এসব সম্পদ এবং বিষয়াদি নিয়ে কেউ মাথা ঘামাতো না এবং এ বিষয়ে কোনো সমস্যাও হতো না।
বর্তমানে একান্নবর্তী তথা যৌথ পরিবার প্রায় ভেঙে গেছে বললেই চলে। গ্রামকেন্দ্রিক কোথাও কোথাও একেবারে হাতে গোনা কিছু যৌথ পরিবার এখনও চোখে পড়লেও তা মোটেই উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করার মতো নয়। বাঙালি সমাজ ব্যবস্থায় এখন প্রায়ই চোখে পড়ে শুধু ছোট পরিবার যেখানে বসবাস করে স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানেরা। এখন সমাজ এবং পরিবারগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়েছে হিংসা বিদ্বেষ এবং হানাহানি। কেউ কাউকে কদাচিৎ বিপদে এগিয়ে আসে। এককথায় বলতে গেলে সমাজ আর পরিবারের অনেক মানুষের মন আজ আঁধারে ছেয়ে গেছে। কেউ কাউকে একটু ছাড় দিতে চায়না। অথচ পরিবার তথা সমাজের সব মানুষ যদি একে অপরকে একটু ছাড় দেয় এবং তাদের মনের সমস্ত দূর করে একে অপরের জন্য কাজ করে তাহলে সমাজটা আজ অনেক দূর এগিয়ে যেতো। মানুষে মানুষে এতো ভেদাভেদ থাকতো না। তাই আসুন আমরা সবাই মনের আঁধার দূর করে পরিবার তথা সমাজকে আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাই, যে আলো আপনাকে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।