চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিছনে থাকা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালাইড সায়েন্সের (ইনমাস) ফাইল-পত্র তছনছের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ঢুকে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায় বলে পুলিশ ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে ফাইল-পত্র তছনছ করলেও মূল্যবান তেমন কিছু চুরি যায়নি।
প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রিল ভেঙে ঢুকে অন্তত ৫টি কক্ষের তালা ভাঙ্গা হয়। আর কক্ষের ভেতর থাকা ফাইল ক্যাবিনেট ও আলমারিতে থাকা নথিপত্র তছনছ অবস্থায় পাওয়া গেছে। ল্যাবে ঢুকলেও কম্পিউটার-যন্ত্রপাতি সবই অক্ষত রয়েছে। অফিসের একটি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে মনে করা হলেও পরবর্তীতে সেটি পাওয়া গেছে বলে জানান, ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালাইড সায়েন্সের পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার ভট্টাচার্য। তবে অল্প কিছু টাকা চুরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কারা কি উদ্দেশ্যে এটি করেছে বুঝতে পারছি না। মূল্যবান কোন কিছু চুরি হয়নি। কেবল ফাইল-পত্র তছনছ করে গেছে। আমরা পুলিশকে অভিযোগ দিয়েছি। তারা তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করবে বলে আমরা আশা করছি।
ফাইলপত্র তছনছের বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কোন কারণে ঘটতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। ঘটনাস্থলে যাওয়া চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক আজাদীকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নথিপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখা গেছে। তবে মূল্যবান কোন কিছু নষ্ট বা ক্ষতি হয়নি। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলেছেন- কিছু নগদ টাকা চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এসআই নুরুল আলম আশেক।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এতদিন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন ডা. রকিবুল হক। গত ১৫ নভেম্বর তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে (এলপিআর) যান। আর ১৬ নভেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন ডা. পবিত্র কুমার ভট্টাচার্য। নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহইের দশ দিনেরও কম সময়ের ব্যবধানে এ ঘটনা ঘটল। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, পরিচালক হিসেবে ডা. পবিত্র কুমার ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ভেতরের-বাইরের একটি পক্ষ অখুশি। ওই পক্ষটিই এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।