কক্সবাজারের টেকনাফে গভীর রাতে পেট্রোল পাম্পে হামলা চালিয়ে মিটার মেশিন, অফিস ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।
আজ রবিবার (৩ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়া মেসার্স ইলিয়াস এন্টারপ্রাইজ
ফিলিং স্টেশনে ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, গভীর রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সদ্য বিদায়ী ইউপি সদস্য ও একাধিক মাদক মামলার পলাতক আসামী মো. আব্দুল্লাহ ও বাহারছড়ার নোয়াখালী পাড়ার আব্দুর রহমান জুয়েলের নেতৃত্বে ৮/১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী জ্বালানি তেলের পাম্পে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অকটেন ও ডিজেল মিটার মেশিন, অফিসে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা ক্যাশে থাকা তেল বিক্রির নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা লুট করে। সন্ত্রাসীরা বারবার পাম্প মালিক বাহার ছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াসকে খুঁজতে থাকে।
এদিকে, মেসার্স ইলিয়াস এন্টারপ্রাইজ ফিলিং স্টেশন সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করছে এমন খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পাম্পের দায়িত্বে থাকা মো. রেজাউল করিম বলেন, “আমাদের ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. ইলিয়াস মেম্বারের আপন খালাতো ভাই মো. আব্দুল্লাহ ও চিহ্নিত মাদক কারবারী জুয়েলসহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মদ্যপ অবস্থায় হামলা চালিয়ে নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে দু’টি মিটার মেশিন, অফিসের কাচ, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা।”
ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. ইলিয়াস মেম্বার জানান, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নুর মোহাম্মদ ও টেকনাফ মডেল থানার এসআই মো. তোফায়েলের নেতৃত্বে দু’টি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌ. আজিজ উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশের টিমসহ আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, ঘটনার দায় স্বীকার করে আব্দুল্লাহ মেম্বারের পিতা সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে বৈঠক করে সমাধান করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “বিষয়টি নজরে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাতিয়ার ঘোনার হাজী আবুল বশরের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ মেম্বার ও মেসার্স ইলিয়াস এন্টারপ্রাইজ ফিলিং স্টেশনের মালিক ও বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া ৯নং ওয়ার্ডের মৃত মীর কাসেম মিয়ার ছেলে মো. ইলিয়াস মেম্বার সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।