চট্টগ্রাম নগরীর পূজামন্ডপগুলোতে প্রথমবারের মতো এবার কোনো পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে না। সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর গতকাল রোববার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মাল্টিপারপাস শেডে পূজা উদযাপন কমিটিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। এবছর চট্টগ্রাম নগরীতে পূজা মন্ডপের সংখ্যা ২৫২টি। ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন, দেবীর ঘুম ভাঙানোর বন্দনা পূজা। ২৩ অক্টোবর সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। প্রতিবছর বিভিন্ন মন্ডপে পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হতো। সিএমপি কমিশনার বলেন, কোন মণ্ডপে স্ট্যাটিক পুলিশ ফোর্স থাকবে না। পেট্রোলিংয়ের। কোন মন্ডপের ভেতরে যেন একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫ জনের বেশি লোক জড়ো না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রবেশপথে সাধারণত ভিড় হয়, এটাও খেয়াল রাখতে হবে। পূজা উদযাপন কমিটির উদ্দেশে তিনি বলেন, পূজা মন্ডপে দর্শনার্থীদের মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেবেন না। পাশাপাশি তিনি পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে আলোকসজ্জা, থিম ও ডিজে আয়োজন করা থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেন। সিএমপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সুনির্দিষ্ট ৩০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পূজা কমিটিগুলোকে। নির্দেশনার মধ্যে পূজার আরতি, পুষ্পাঞ্জলিসহ পালনীয় আচারগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়। এছাড়া নারী ও পুরুষ পৃথক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, স্বেচ্ছাসেবকদের চেনার সুবিধার্থে গেঞ্জি, ক্যাপ ও আর্মড ব্যান্ড ব্যবহার করার কথাও বলা হয়েছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোসতাক আহমেদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর।