মীসরাইয়ে গত কয়েক বছরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টা চাষ। বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় বেড়েছে এ চাষ। কৃষকরা জানায়, অন্য ফসলের চেয়ে রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ কম এ ফসলে, বাজারে ভালো দামও পাওয়া যায়। তাই অনেকেই অন্য ফসল বাদ দিয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন। দেখা গেছে মীরসারাই উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের আমবাড়িয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে, হিঙ্গুলি, ওসমানপুর, হাইতকান্দি, ইছাখালী, দুর্গাপুর, করেরহাট, সোনাপাহাড়, ওয়াহেদপুর, সাহেরখালী, মঘাদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবার ভুট্টা চাষ করেছেন কৃষকরা। ভুট্টা চাষে সেচ খরচ যেমন কম তেমনি রোগবালাই আর পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। আবার পোলট্রি, মৎস্য ও গো–খাদ্য হিসেবে ভুট্টার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এছাড়া ভুট্টার পাতা গো–খাদ্য এবং কাণ্ড জ্বালানি হিসেবে ও ছোবড়া বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় হয় কৃষকদের।
চৈত্রের এই সময়ে (মার্চের শেষের দিকে) ভুট্টার গাছে গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে। এক বিঘাতে ৪০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এবার প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর বাজারে ভালো দাম পাওয়া গেলে ৪০ হাজার টাকার বিক্রির আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর এক বিঘাতে ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছিলাম। বাজারে ন্যায্য দাম পেলে এবারও লাভবান হতে পারব।
ওয়াহেদপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুট্টা চাষে তেমন ঝামেলা নেই। এবার প্রায় ১০ গণ্ডা জমিতে ভুট্টার চাষ করতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছ। আশা করছি খরচ উঠে ১৫ হাজার টাকা লাভও করতে পারব।
এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এখানে বেশ কিছু পোলট্রি, মৎস্য ও গো–খাদ্য কারখানা থাকায় স্থানীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার চাহিদা। তাই এর চাষ আরও বৃদ্ধি করতে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।