৬ষ্ঠ ধাপে বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন সাতজন। কিন্তু ভোটের মাঠে জোরেসোরে আলোচনায় রয়েছেন চারজন। তারা হলেন হেলিকপ্টার প্রতীকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহেদুল হক, মোটর সাইকেল প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, আনারস প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা মো. শফিক ও দোয়াত কলম প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম (রাজা মিয়া)। প্রতীক পেয়েই তারা ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তারা ছুটছেন দিনরাত এক করে। বাকিদের তেমন একটা দেখা না গেলেও প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এ চার প্রার্থী। ভোটারদের মাঝেও গুঞ্জন এই চার প্রার্থীকে নিয়েই।
শাকপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. কামাল উদ্দীন বলেন, হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে জাহেদুল হক বেশ আলোচনায় রয়েছেন। তিনি একজন দানবীর হিসেবে পরিচিত সবার কাছে। পুড়ে যাওয়া ঘর নতুন করে সংস্কার, অসহায় অসুস্থ রোগীর জন্য আর্থিক সহযোগিতা, অসহায় পরিবারের মেয়ের বিয়ে দেওয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক হওয়ায় তিনি বোয়ালখালীর অনেক বেকার যুবককে ব্যাংকে চাকরি দিয়েছেন। ভোটে নির্বাচিত হলে তিনি আরো বেশি কিছু করতে পারবে বলে ধারণা করছি।
সারোয়াতলী ইউনিয়নের মো. আবছার বলেন, মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর নাম সবার মুখে মুখে। কারণ তিনি দলীয় পদ ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেনি উপজেলার সাধারণ মানুষদের। সৎ ও নিষ্ঠাবান হওয়ায় জনগণ তাকে নির্বাচিত করবে বলে মনে করি।
অপরদিকে কধুরখীল ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, আনারস প্রতীক নিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মো. শফিক। তিনি সুলতান মোস্তফা কমপ্লেক্স নামের একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। ছেলে মেয়েদের সু–শিক্ষায় শিক্ষিত করতে তিনি মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাশাপাশি অসহায়দের সহযোগিতা, গৃহহীন মানুষদের গৃহ নির্মাণ করে দেয়া, মসজিদ, মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান দেয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে তিনি জড়িত আছেন। তিনি নির্বাচিত হলে আরো বেশি করবেন বলে ধারণা আমাদের।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোরশেদ আলম বলেন, তিনি বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বল্প সময়ে তিনি যা পেরেছেন বরাদ্দ দিয়েছেন। গভীর নলকূপ শুধুমাত্র অফিসিয়াল খরচে দিয়েছেন, বাড়তি কোনো টাকা নেননি। পরবর্তীতে তিনি নির্বাচিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে একটি সু–সম্পর্ক থাকায় তিনি বোয়ালখালী উপজেলার জন্য বড় ধরনের বাজেট পাশ করাতে পারবেন বলে আশা করি। সুতরাং সেদিক বিবেচনা করে উন্নয়নের স্বার্থে সবাই তাকে ভোট দিবে।
এদিকে খুব বেশি আলোচনায় না থাকলেও বাকি তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী কাপ পিরিচ প্রতীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিম, ঘোড়া প্রতীকে শফিউল আলম ও টেলিফোন প্রতীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান।