বেড়েছে প্রাইভেট গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল

রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৭ জুলাই, ২০২১ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের ৪র্থ দিন পার হয়েছে গতকাল সোমবার। এদিন নগরীতে বেড়েছে প্রাইভেট গাড়ি, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল। মানুষের যাতায়াতও বেড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তারা অন্য কোন যানবাহন না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। বিশেষ করে যারা কাঁচা বাজার করতে বের হয়েছেন তারা রিকশা নিয়েই যাতায়াত করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রোগী এবং তাদের স্বজনদের। কঠোর লকডাউনে সিএনজি বন্ধ থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনদের আর্থিকভাবে এবং মানসিকভাবে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সরেজমিনে বেলা ১২টায় চমেক হাসপাতালসহ একাধিক প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সামনে গিয়ে দেখা গেছে প্রচুর রোগীর ভিড়। মোমিন রোড় থেকে একজন রোগীকে মেহেদীবাগে এ্যাম্বুলেন্সে করে নিতে ১২শ’ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে মোজাম্মেল হোসেনকে। অথচ সিএনজিতে করে নিতে লাগতো ১শ’ টাকা । গতকাল এমন আরো চিত্র নগরীর বিভিন্ন সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালের সামনেও দেখা গেছে।
গতকাল নগরীর প্রবেশপথসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও ছিল কঠোর। পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী প্রাইভেট কার ও মাইক্রোর চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। যারা বিনা কারনে ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদেরকে মাস্ক দিয়েছেন। অন্যদিকে বিকাল ৩টার পর যারা দোকান খোলা রেখেছেন তাদের জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীর প্রতি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেবে চসিক
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারের ঈদগাঁও নতুন উপজেলা