রাউজান থেকে বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের বেতবুনিয়া মডেল ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে তার স্বজনেরা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমত পাড়া সড়ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেতবুনিয়া থেকে ধাওয়া করে তাকে রাউজান এনে পিটুনি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা৷ পরে স্থানীয় লোকজন নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পরিবারকে খবর দিলে নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনেরা গিয়ে উদ্ধার করে গহিরা জেকে মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবদুল মান্নান পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বস্তি এলাকার কবির আহমেদ ওরফে কবির মিস্ত্রীর ছেলে।
মৃত্যুর অন্তত ১৩ ঘন্টা আগে শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল মান্নান তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘আঘাত ভুলে গেলেও আঘাতকারীকে ভুলা যাবে না, কারণ ক্ষত শুকিয়ে গেলেও দাগ কিন্তু মুছে যায় না।’
সূত্র জানায়, নিহত মান্নান বালি ও কংক্রিটের ব্যবসা করতেন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের চেয়ে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিল তার এলাকায়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেখানে এক পুত্র রয়েছে তার।
এ বিষয়ে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার নাফিজুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের কোনো তথ্য আমরা এখনও পায়নি।