বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বৃক্ষ নিধন করতে করতে ঢাকা শহর এখন প্রায় বৃক্ষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠমাসে মানুষ তো বটেই পশুপাখি পর্যন্ত বিশ্রাম নেবার মতো কোনো ছায়াঘেরা জায়গা নেই। চট্টগ্রাম শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। তার ওপর প্রতি বছর বাংলাদেশে উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। গ্রীষ্মের সময় ভারত হতে যেসব নদনদী বাংলাদেশে ঢুকেছে তাতে ভারত অন্যায়ভাবে পানির গতিপথ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তা শুকিয়ে চৌচির হয়ে পড়ে, ফলে বাংলাদেশের অনেক অংশ মরুভূমিতে রূপ নেয়। ভারতের বদৌলতে বাংলাদেশ গ্রীষ্মের সময়ে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে আর বর্ষার সময়ে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। ভারতের সাথে নদীর গতিপথ নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা না গেলে দেশে কৃষিকাজ ও মাছের উৎপাদন ব্যাহত হবে। শহরে ও শিল্প এলাকাগুলোতে বৃক্ষ রোপণের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগ নিতে হবে এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। এসো নিজেরা সচেতন হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নিজ নিজ এলাকায় সর্বোচ্চ বৃক্ষরোপণ করে নিজেদের বাঁচার জন্য বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখি। বৃক্ষরাজির ছায়ায় ও পাখপাখালির গুঞ্জনে মুখরিত হোক বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম ও শহর।