ফিলিপাইনে পিঁয়াজের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে রেস্তোরাঁগুলো পিঁয়াজের ঘাটতিতে ভুগছে। নো অনিয়ন টপিংস (পিঁয়াজে খাবার সাজানো হয় না)- রেস্তোরাঁয় এই চিহ্ন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গেল মাসে ফিলিপাইনে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম বেড়ে ৭০০ পেসোতে (১২ দশমিক ৮০ ডলার) দাঁড়িয়েছে। প্রতি কেজি মাংসের দামও এর চেয়ে কম।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশটির দৈনিক সর্বনিম্ন আয়ের চেয়েও বেশি। যদিও গেল কয়েক সপ্তাহে দাম কিছুটা কমেছে, এখনও অনেক ক্রেতার কাছেই পিঁয়াজ বিলাসপণ্য। কথাগুলো বলছিলেন। সেবু শহরের পিৎজারিয়া রেস্তোরাঁ চালানো রিজালদা মাওনেস। তিনি বলেন, আগে আমরা দৈনিক তিন–থেকে চার কেজি পিঁয়াজ কিনতাম। এখন আমরা সাধ্যমতো আধা কেজি কিনতে পারি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্রেতারা অবশ্য এটি বুঝতে পারেন।
কেননা শুধুমাত্র রেস্তোরাঁয় নয়…বাড়িঘরেও লোকজন কঠিন সময় পার করছে। অনেক খাবারই পিঁয়াজ দিয়ে মিষ্টি করা হয়। খবর বাংলানিউজের।
ফিলিপিনো রন্ধনপ্রণালীতে পিঁয়াজ প্রধান উপাদান। এটি এখন জীবনযাত্রার খরচ বাড়ার প্রতীক হয়ে উঠেছে। মূল্যস্ফীতির কারণে এমনটি হয়েছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে তেল সবকিছুরই দাম বেড়েছে। গ্রীষ্মপ্রধান দেশটিতে গেল মাসে গত ১৪ বছরের মধ্যে সব কিছুর দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ও কৃষি সেক্রেটারি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া জরুরি পরিস্থিতি। সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসেব চলতি মাসের শুরুতে মার্কোস লাল ও হলুদ পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিলিপাইনের অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোয় চলমান চাহিদা তৈরি হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে পিঁয়াজসহ অন্যান্য খাদ্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
গেল বছরের আগস্টে কৃষি বিভাগ মূল জাতীয় ফসলের ঘাটতির আভাস দিয়েছিল। এর কয়েক মাসের মধ্যেই ফিলিপাইনে শক্তিশালী দুটি ঝড়ের কারণে ফসলের বেশ ক্ষতি হয়, বলেন আনজি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ নিকোলাস মাপা। তিনি বলেন, অর্থনীতি যেহেতু ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেহেতু চাহিদার মধ্যেও ঊর্ধ্বগতি দেখতে পাচ্ছি। ফিলিপাইনের শহর সেবুর স্ট্রিট ফুড স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
এসব খাবারের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। ফ্রাইড ভেজিটেবলস, মাংস ও সামুদ্রিক খাবার সাধারণত পিঁয়াজ ও ভিনেগার ডিপিং সস দিয়ে পরিবেশন করা করা হয়।