সন্তানের বাবা হয়ে গেছেন, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করতে পারছেন না ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তবে সে দেশের গণমাধ্যম বলছে, আগামী গ্রীষ্মেই গির্জায় গিয়ে কেরি সাইমন্ডসকে ‘আই ডু’ বলবেন বোজো। বরিস জনসনের ঘরোয়া ডাকনাম বোজো। পরিচয়ের পর থেকে প্রেমিকা কেরিও নিশ্চয়ই তাকে এ নামেই ডাকেন।
ডয়চে ভেলের এক খবরে বলা হয়, অ্যাসপিনাল ফাউন্ডেশন নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মী কেরি নাকি ইতিমধ্যে বন্ধু-স্বজনদের বিয়ের দাওয়াতও দিতে শুরু করেছেন। কবে হবে বিয়ে? সম্ভবত ২০২২ সালের ৩০ জুলাই। কোথায় হবে তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে বিয়ে যেখানেই হোক, ২০২২ সালে হলে নতুন একটা রেকর্ডে ২০০ বছর পরে নিজের নামও লেখাতে পারবেন বরিস জনসন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয়ের আগেই কেরিকে পেয়েছিলেন। এক চ্যারিটি প্রোগ্রামে পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর বাগদান এবং তার কিছু দিনের মধ্যেই করোনা মহামারি। ফলে দুজন বারবার খবরের শিরোনামে এলেও করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিয়ের ঘোষণাটা দিতে পারেননি। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাবেক কনজারভেটিভ সাংসদ স্ট্যানলি জনসন ও তার প্রথম স্ত্রী চিত্রকর শার্লট ফসেটের সন্তান আলেক্সান্ডার বরিস দে পিফেল জনসনের জন্ম ১৯৬৪ সালের জুনে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। তাঁর দাদার বাবা আলি কামাল একজন তুর্কি। একারণে নিজেকে মুসলিম উত্তরাধিকারী হিসাবে বলে থাকেন জনসন।
অবশ্য তাতে যৌথজীবন-যাপন থেমে থাকেনি। ব্রিটেনের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে বিয়ে না করা সঙ্গিনীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। পরের বছর ৫৬ বছর বয়সি বরিস আর ৩৩ বছর বয়সি কেরির ঘর আলো করে আসে ছেলে উইলফ্রেড।
করোনা মহামারি না থাকলে এতদিনে নিশ্চয়ই বিয়েটাও হয়ে যেতো। সেক্ষেত্রে লর্ড লিভারপুলের পাশে বরিস জনসন নামটাও বসে যেতো ১৮২২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিয়ে করার প্রথম দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন লর্ড লিভারপুল। একটু দেরিতে, অর্থাৎ, ২০২২ সালে কেরি সাইমন্ডসকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করলে ঠিক দুইশ বছর পরই সেই রেকর্ড স্পর্শ করবেন বরিস জনসন।