বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড উদ্ভাবিত তিনটি টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্লোব বায়োটেক বলেছে, তাদের উ৬১৪এ াধৎরধহঃ সজঘঅ াধপপরহব, উঘঅ চষধংসরফ াধপপরহব এবং অফবহড়ারৎঁং ঞুঢ়ব-৫ াধপঃড়ৎ াধপপরহব প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল তালিকায় আছে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গ্লোব বায়োটেকই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের তিনটি ভ্যাকসিনের নাম এই তালিকায় রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সারা বিশ্বে যেসব টিকা তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি টিকার একটি তালিকা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) থাকা ১৫৬টি টিকার আরেকটি তালিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। ১৫৬টি টিকার ওই তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের এই তিনটি টিকার নাম রয়েছে।
একে গ্লোবের টিকা তৈরির প্রক্রিয়ার একটি স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। আইইডিসিআরের সাবেক এই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, গ্লোবের টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ডব্লিউএইচওর তালিকায় যুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল। এটাই অগ্রগতি। এর আগে ভ্যাকসিনটি প্রস্তুতি পর্বে ছিল। এবার প্রাণিদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনটি তালিকাভুক্ত হয়েছে। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে তারপরও বাংলাদেশের নাম এলো, ভ্যাকসিন তৈরির দৌঁড়ে আমরাও আছি। গ্লোব বায়োটেকের ব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন)
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, তাদের ওই তিনটি টিকার মধ্যে উ৬১৪এ াধৎরধহঃ সজঘঅ াধপপরহব-এর প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে।
তিনি বলেন, এজন্য আমাদের সিআরও কাজ করছে। গত ১৪ অক্টোবর আমরা আইসিডিডিআরের সঙ্গে একটা সমঝোতা স্মারক সই করেছি। তারা আমাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা বিএমআরসি ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করবে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ায় আশা করছি, ৪২টি প্রতিষ্ঠানের যে তালিকা পরবর্তীতে আমাদের ভ্যাকসিনও সেখানে অন্তর্ভুক্ত হবে। এটা আমাদের জন্য ভালো অগ্রগতি। আমার বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমানে হাঁটছি।