অন্ধকারের স্নায়ুশিরায় রাত মিশে আছে মৃত্যুর মতোন
আলোক-অন্বেষ্টা আদমেরা তিমির হনন করে
প্রাণহীন নগরের ফটক খোলার করে ব্যর্থ অভিলাষ।
আশার তাবিজ কন্ঠে ঝুলিয়ে যে যুবা
জীর্ণ বৃষ দিয়ে হালচাষে, স্বপ্ন দেখে
সোনালি ফসল, তাকে আমি নগরের
জলে জাল ফেলতে দেখেছি উৎকণ্ঠায়।
ফটকের ওপারের যে জীবন তা কি সে জানে না?
কাঁকর মেশানো চালে, তেল জলহীন এ জীবনে,
পাওয়া না পাওয়ার বাসনা কতটুকুন হাসে!
মনের আহার্যে ভন ভন করে মাছি
নষ্ট জলে মারিবিদ্ধ তৃষিত কোকিল!
ঘানি টানা অদৃষ্টলিপি লেখন হয়
দিনের তরল খতিয়ানে।
পলিঘরে মুমূর্ষু হৃদপিণ্ডের শব্দ
শুনে মনে হয় যেন দূরে শবযাত্রীদের হাঁক।
মারির শহরে অহর্নিশি মৃত্যু ঘ্রাণ
কে বাঁচে কে মরে কেউ রাখেনা খবর।
পুষ্টিহীন কর্পোরেট চালে ঘৃণ্য সব ছলনায়
মানুষের উচ্চকিত সাধ জিরাফের ছায়া করে নেয় গ্রাস।
বিপন্ন শহর, চাল ব্যাপারি, আদম ব্যাপারিরা
ঘুণে ধরা আদমের হাড় নিয়ে কেনাবেচায় প্রমত্ত হয়।